বরিশাল- ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম বলেছেন,
যারা মুক্তিযু’দ্ধের স’ঙ্গে ধর্মনিরপেক্ষ’তাবাদের মিছে বি’রোধের ফেনা তুলছেন- তাদের জানা উচিত, ধর্মনিরপেক্ষ’তাবাদ নয় ইসলামই ছিল একাত্তরে স্বাধীনতার মূ’ল ভিত্তি।
মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) দুপুরে নগরের ফজলুল হক অ্যাভিনিউতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ বরিশাল জে’লা ও মহানগর কর্তৃক আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম বলেন, র’ক্ত সাগর পাড়ি দিয়ে যে বাংলাদেশ আমরা স্বাধীন করেছি সেই স্বাধীনতা আজও স্বপ্নই রয়ে গেলো।
বাংলাদেশ স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীর দ্বারপ্রান্তে উপনীত হলেও সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচার আজও প্রতিষ্ঠিত হয়নি।
আমরা বিশ্বাস করি, স্বাধীনতার প্রকৃত অর্থ খুঁজে পেতে রাষ্ট্রক্ষ’মতায় ইসলামকে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে।
যারা মুক্তিযু’দ্ধের স’ঙ্গে ধর্মনিরপেক্ষ’তাবাদের মিছে বি’রোধের ফেনা তুলছেন- তাদের জানা উচিত, ধর্মনিরপেক্ষ’তাবাদ নয় ইসলামই ছিল একাত্তরে স্বাধীনতার মূ’ল ভিত্তি।
এসময় তিনি আরও বলেন, এদেশের ৯২ ভাগ মু’সলমানের ধর্ম ইসলামকে মুক্তিযু’দ্ধের বিপরীতে দাঁড় করিয়ে সা’ম্প্রদায়িক দা’ঙ্গা সৃষ্টির চেষ্টা করছে একদল ভূঁইফোড় জনগোষ্ঠী।
বলা হয়, এ দেশের আলেম সমাজ এবং মু’সলমানরা মুক্তিযু’দ্ধের বি’রোধীতা করেছে। কিন্তু প্রকৃত ঘ’টনা পুরোপুরি উল্টো।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জ’ন্মসূত্রে একটি সম্ভ্রান্ত মু’সলিম পরিবারের স’ন্তান হওয়ায় তিনি তাঁর মূ’লকে ধারণ করে প্রত্যেকটি বক্তব্য-বিবৃতিতে ইসলামের অবস্থান জানান দিয়েছেন।
৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণে তিনি বলেছিলেন ‘এ দেশের মানুষকে মুক্ত করেই ছাড়বো ইনশাআল্লাহ। ’ তাঁর সে ঐতিহাসিক ইনশাআল্লাহর ধ্বনিতে উজ্জীবিত হয়ে এ দেশের মু’সলমানরা স্বাধীনতা সংগ্রামে ঝাঁ’পিয়ে পড়েছিল।
দীর্ঘ নয় মাস সংগ্রাম করে এ ভূখণ্ডকে স্বাধীন করেছে। সেই সংগ্রামী মু’সলমানদের বাদ দিয়ে এ দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাস কল্পনাও করা যায় না।
তিনি আরও বলেন, মুক্তিযু’দ্ধে মু’সলমানদের অবস্থান কি ছিল, প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধারা তা ভালো করেই জানেন। নতুন করে সেটা প্রমাণ করতে বক্তব্য বিবৃতি জরুরি নয়।
তবে যারা ইসলামকে বিকৃত করার লক্ষ্যে মুক্তিযু’দ্ধবি’রোধী রাজাকারদের পরিচয় তুলে ধরতে ইসলামের সিম্বলগুলো ব্যবহার করেন, তাদের একটি বার্তা দিতে চাই, আপনারা সতর্ক হোন।
নিজেদের রাজাকার তকমা ঢেকে রাখতে ইসলামকে কলঙ্কিত করার চেষ্টা করবেন না, এর ফলাফল কখনো শুভ হবে না। একই সাথে আমি বাংলাদেশ স’রকারকে বলবো,
যারা মুক্তিযু’দ্ধভিত্তিক বিভিন্ন গল্প-সিনেমা-নাটক এবং ত’থ্যচিত্রে রাজাকারদের পরিচয় তুলে ধরতে ইসলামী সিম্বল ব্যবহার করে সেসব নির্মাতাদের দ্রু’ততম সময়ের মধ্যে শা’স্তির আওতায় আনতে হবে।