১৫ বছর আগে গা’ড়ি দু’র্ঘট’নায় ব্রেন হেমা’রেজ হয়ে টানা ১৫ বছর ভেন্টি’লেটরে রয়ে’ছেন সৌদির এক রাজপুত্র। প্রিন্স আল-ওয়ালিব বিন খালিদ আ’ল-সৌদ।
২০০৫ সালে সামর’িক কলে’জে পড়ার দিনগু’লোতে এক দু’র্ঘট’নায় তিনি কোমায় চলে যান।প্রায় ১৫ বছর ধরে কোমায় থাকা এই সৌদি রাজপুত্র অব’শেষে এ স’প্তাহে তার পরিবা’রের জন্য আশার এক’টি ই’ঙ্গিত দিলেন।
বিছানা’র পাশে থাকা কোনো এক দর্শণা’র্থীর ডাকে হাত নেড়ে সাড়া দিয়ে’ছেন প্রি’ন্স আল-ওয়া’লিব বিন খালিদ আল-সৌ’দ।ওই না’রীর কথার জবাবে প্রথমে দুটি আ’ঙুল নাড়েন রাজপুত্র।আল-ওয়া’লিব সর্বশেষ এ রকম আ’ঙুল নেড়ে’ছিলেন পাঁচ বছর আগে’।তার এই সা’ড়া’কে উৎ’সাহ যোগাতে আঙু’ল আরে’কটু উপরে তোলার আহ্বান জা’নান ওই না’রী।
তাতেও সা’ড়া দিয়ে এক’সময় পুরো ক’বজি একবার উপরে তোলেন রাজপুত্র।২০০৫ সালে সাম’র’িক কলে’জে পড়ার দি’নগু’লোতে এক গাড়ি দু’র্ঘট’নায় ব্রেন হেমা’রেজ হয়ে দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে ভেন্টি’লেটরে রয়ে’ছেন এই রাজপুত্র।
সৌদি বিজনেস টাইকুন প্রিন্স আল-ওয়ালিদ বিন তালাল আল সৌদের ভাতিজা তিনি। তার বাবা নিজের স’ন্তানের জীবনের আশা ছেড়ে দিতে রাজি হননি। একদিন স’ন্তান জেগে উঠবেন, এই আশা নিয়ে ছেলের চিকিৎসা করছেন নিবিড় পর্যবেক্ষণে রেখে।
গত বছর এক আমিরাতি না’রী ২৭ বছর কোমায় থাকার পর জেগে উঠেছেন। ১৯৯১ সালে জীবন বদলে দেয়া এক গাড়ি দু’র্ঘট’নায় ম’স্তি’ষ্কে গু’’রু’তর আ’ঘা’ত পেয়ে কোমায় চলে যান মুনিরা আবদুল্লা নামের ওই না’রী।এরপর থেকে এক হাসপাতালে দীর্ঘদিন চিকিৎসা চললেও, তার সুস্থতার ব্যাপারে চিকিৎসকরা খুব একটা আশাবা’দী ছিলেন না।
আমি কখনোই আশা ছাড়িনি। কেননা মা একদিন জেগে উঠবেন, এই অনুভূ’তি বরাবরই আমা’র ছিল, দ্য ন্যাশনালকে বলেছিলেন তার ৩২ বছর ব’য়সী ছেলে ওমর’ ওয়েবেয়ার।
ওমর’ের বিশ্বা’স, তার মাকে জার্মানিতে নিয়ে যাওয়ার সি’দ্ধান্তটিই কাজে দিয়েছে।বলে রাখা ভালো, আরও উন্নত চিকিৎসার জন্য ২০১৭ সালে সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে জার্মানিতে নিয়ে যাওয়া হয় মুনিরাকে। দীর্ঘকাল পর তার সুস্থ হয়ে ওঠা আশা দেখাচ্ছে কোমায় ঘু’মন্ত সৌদি রাজপুত্রের পরিবারকেও।