ডায়াবেটিস এমন একটি শা’রীরিক অবস্থা যা সারা জীবনের জন্যে বয়ে বেড়াতে হয়। সারা বিশ্বেই এই সমস্যা বেড়ে চলেছে। বর্তমানে ডায়াবেটিসে আ’ক্রান্ত মানুষের সংখ্যা ৪২ কোটিরও বেশি। ৩০ বছর আগের তুলনায় এই সংখ্যা এখন চার গুণ বেশি- এই হিসাব বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার।
ডায়াবেটিস যদিও জেনেটিক এবং আপনার জীবন যাপনের স্টাইলের ও’পর নির্ভরশীল, তারপরেও আপনি চেষ্টা করলে র’ক্তে চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রাখতে পারেন।সেজন্যে আপনাকে খাবার গ্রহণের বি’ষয়ে বিশেষভাবে সচেতন থাকতে হবে এবং আপনাকে হতে হবে অত্যন্ত সক্রিয় একজন মানুষ।
খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তনের মাধ্যমে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। এজন্য খাদ্যাভ্যাসে নিচের বি’ষয়গুলো খেয়াল রাখতে হবে;
১. প্রক্রিয়াজাত খাবার ও পানীয় এড়িয়ে চলতে হবে।
২. মৃসণ সাদা আটার রুটির পরিবর্তে খেতে হবে ভুষিওয়ালা আটার রুটি। এটাই প্রথম ধাপ।
৩. এড়িয়ে চলতে হবে হোয়াইট পাস্তা, প্যাস্ট্রি, ফিজি ড্রিংকস, চিনি জাতীয় পানীয়, মিষ্টি ইত্যাদি।
৪. আর স্বাস্থ্যকর খাবারের মধ্যে রয়েছে শাক সব্জি, ফল, বিন্স এবং মো’টা দানার খাদ্য শস্য।
৫. স্বাস্থ্যকর তেল, বাদাম খাওয়াও ভালো। ওমেগা থ্রি তেল আছে যেসব মাছে সেগুলো বেশি খেতে হবে। যেমন সার’ডিন, স্যামন এবং ম্যাকেরেল।
৬. এক বেলা পেট ভরে না খেয়ে পরিমানে অল্প অল্প করে বিরতি দিয়ে খাওয়া দরকার।
৭. শ’রীর চর্চা বা ব্যায়াম করার মাধ্যমে র’ক্তে চিনির মাত্রা কমিয়ে রাখা সম্ভব।
৮. প্রতি সপ্তাহে আড়াই ঘণ্টার মতো ব্যায়াম করা দরকার। তার মধ্যে দ্রু’ত হাঁটা এবং সিড়ি বেয়ে ও’পরে ওঠাও রয়েছে।
৯. ওজন কম রাখলেও চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। যদি ওজন কমাতে হয় তাহলে সেটা ধীরে ধীরে করতে হবে। সপ্তাহে আধা কেজি থেকে এক কেজি পর্যন্ত।
১০. ধূমপান পরিহার করাও জরুরী। নজর রাখতে হবে কোলস্টেরলের মাত্রার ও’পর। এর মাত্রা বেশি হলে হৃদরো’গের ঝুঁ’কি বেড়ে যায়।
আমাদের শ’রীরে কার্বোহাইড্রেট এর বিশাল ভূমিকা রয়েছে, এটি শ’রীরের চিনির মাত্রা নি’য়ন্ত্রণ করে, এমন কি এটির ভূমিকা চর্বি বা প্রোটিনের তুলনায় বেশি।
সুতরাং কী ধরনের শর্করা জাতীয় খাবার খাচ্ছেন এ ব্যাপারে খেয়াল রাখা উচিত। মনযোগী হতে হবে স্লো রিলিজ কার্বোহাইড্রেট ও উচ্চ আঁশযুক্ত খাবারের প্রতি। এগুলো ধীরে ধীরে শ’রীরে র’ক্তের সাথে মিশে যা ধীরে ইনসুলিন নিঃসরণে সাহায্য করে।