দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের কারণ দর্শানোর নোটিসের জবাব দিয়েছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বীর বিক্রম।
সব অভিযোগ প্রত্যাখান, পদত্যাগের ইঙ্গিত দিয়ে তিনি পাল্টা দাবি করেছেন তার কারণেই বিএনপি ভাঙনের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে।
সে’নাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক স’রকারের সময় বেগম খালেদা জিয়ার নির্দেশে বিএনপিতে ভাঙন ঠে’কাতে তৎপর হয়েছিলেন। বর্তমানে ‘তোষামোদ’ ছেড়ে বিএনপি নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে মুখ খোলার আহ্বান জানিয়েছেন দলের এ শীর্ষ নেতা।
হাফিজ বলেছেন, চিঠি পেয়ে অ’পমানিত বোধ করে পদত্যাগের কথাও ভাবছিলেন তিনি। তবে জবাব দেওয়ার পর শীর্ষ নেতৃত্ব কী সি’দ্ধান্ত নেয়, তা দেখে পরবর্তী সি’দ্ধান্ত তিনি নেবেন। দলের ‘কঠিন সময়ে’ বেশকিছু সুপারিশও করেন মেজর হাফিজ।
প্রস’ঙ্গত, দলীয় সি’দ্ধান্তের বাইরে গিয়ে ১৪ ডিসেম্বর হঠাৎ রাজধানীতে বিএনপির কিছু নেতাকর্মী সড়কে অবস্থান নিয়ে বি’ক্ষো’ভ করে। ১৪ ডিসেম্বর জাতীয় প্রেসক্লাবে সম্মি’লিত পেশাজীবী পরিষদের আলোচনা সভা ছিল।
অনুষ্ঠান শেষে বিএনপির নেতা-কর্মীদের একটি দল পুরানা পল্টন মোড় ও জিরো পয়েন্টে অবস্থান নিয়ে স’রকারবি’রোধী বি’ক্ষো’ভ প্রদর্শন করেন। পরে পু’লিশ লা’ঠিপে’টা করে তাদের সরিয়ে দেয়।
বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্বের কেউ কেউ মনে করেন, দলের সি’দ্ধান্তের বাইরে গিয়ে নেতা-কর্মীদের বিভ্রান্ত করে এ ধরনের বি’ক্ষো’ভ করার পেছনে হাফিজ উদ্দিন ও শওকত মাহমুদ দায়ী। এরপর ওই দিন সন্ধ্যায় দুজনকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয় বিএনপি।
তাতে শওকত মাহমুদকে ৭২ ঘণ্টা ও হাফিজ উদ্দিনকে ৫ দিনের সময় দেওয়া হয়। নোটিশে সই করেন দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাস’চিব রুহুল কবির রিজভী।
দলীয় মা’নববন্ধ’নে অংশ না নেওয়া, বরিশালে বিএনপি চেয়ারপারসনের মুক্তির কর্মসূচিতে অংশ না নেওয়া, বিএনপির সর্বোচ্চ স্তরের নেতাদের নিয়ে অসৌজন্যমূ’লক বক্তব্য দেওয়াসহ ১১টি অভিযোগ আনা হয় হাফিজের বি’রুদ্ধে।
বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় সূত্র বলছে, শওকত মাহমুদ গত বুধবার রাতেই জবাব দিয়েছেন। তাতে তিনি বলেছেন, জাতীয়তাবা’দী দলের আদর্শের বাইরে, দলের সি’দ্ধান্তের বাইরে শৃঙ্খলাবি’রোধী কোনো কাজে তিনি জ্ঞাতসারে সম্পৃক্ত ছিলেন না। এরপরও তার অজান্তে কোনো কাজে জ’ড়িত থাকলে তার জন্য তিনি দুঃখিত।
অন্যদিকে মেজর হাফিজ শনিবার তার অবস্থান জানালেন। তাতে বিএনপিকে কারণ দর্শানোর নোটিশে কী বলেছেন, তাও উল্লেখ করেছেন।
ভোলার লালমোহন-তমজুদ্দিন আসনে ছয় বারের সং’সদ সদস্য হাফিজ ২০০১ সালে খালেদা জিয়ার স’রকারে মন্ত্রী ছিলেন।
বীর বিক্রম খেতাবপ্রা’প্ত এই মুক্তিযোদ্ধা সে’নাবা’হিনীর অবসরপ্রা’প্ত মেজর। ফুটবলার হিসেবেও দেশে খ্যাতিমান ছিলেন তিনি।