অন্তু দাস হৃদয়, স্টাফ রিপোটার- টাঙ্গাইল সদর উপজে’লার বিল মাগুড়াটা গ্রামে প্রে’মিকাকে প্রতিশ্রুতি দিয়ে অন্যত্র বিয়ে করেছে আব্দুর রহমান নামে এক এনজিও কর্মী। তিনি ওই গ্রামের রমজান আলীর ছেলে ও বুরো বাংলাদেশের নারায়নগঞ্জ শাখা ফিল্ড অফিসার।
শনিবার (১৯ ডিসেম্বর) তার বউ ভাতের অনুষ্ঠানে বিয়ের দাবিতে প্রে’মিকা অ’নশন শুরু করে প্রে’মিকা। পরে আব্দুর রহমানের পরিবারের লোকজন ওই মে’য়েটিকে বেধড়ক মা’রধর করেছে বলে অভিযোগ ওঠেছে। বি’ষয়টি জানাজানি হওয়ার পর এলাকায় ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার ঝড় বইছে।
স্থানীয়ারা জানান, আব্দুর রহমান ছুটিতে এসে গত শুক্রবার (১৮ ডিসেস্বর) সদর উপজে’লার পয়লা গ্রামে বিয়ে করেন। রাতে বাসর করে শনিবার (১৯ ডিসেম্বর) তার বাড়িতে বউভাতের আয়োজন করে।
এরই মধ্যে বিয়ের খবর শুনে বিয়ের দাবিতে আব্দুর রহমানের বাড়িতে অ’নশন শুরু করে প্রে’মিকা। পরে তার পরিবারের লোকজন প্রে’মিকাকে বেধরক মা’রধর করে।
দুপুরে পয়লা গ্রামের মে’য়ে পক্ষের লোকজন দাওয়াত খেতে এসে তার প্রে’মিকাকে অ’নশন করতে দেখে বিব্রত হন। বি’ষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে সমালোচনার ঝড় বইছে।
শনিবার (১৯ ডিসেম্বর) বিকেলে আব্দুর রহমানের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, বিয়ের আয়োজন চলছে। উঠানের তাবু টাঙানো। চেয়ার টেবিল বসানো আছে।
অনেকেই দুপুর খাবার খেয়েছেন। পয়লা গ্রামের আত্মীয়রাও খাবার খেয়ে বাড়ির পাশে রোদে দাড়িয়ে আছে। তবে রহমান ও তার পরিবারের কাউকে পাওয়া যায়নি।
আব্দুর রহমানের প্রে’মিকা জানান, তাদের দুজনের বাড়ি একই গ্রামের দুপাশে। ৭ বছর আগে থেকে তারা শহরের একটি কাটিং সেন্টারে চাকরি শুরু করে।
চাকরির সুবাদে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্প’র্ক গড়ে ওঠে। প্রেমের পর আব্দুর রহমানকে অনেক টাকা দিয়েছেন তিনি। আব্দুর রহমানের বোন জামাই বিদেশ যাওয়ার সময়ও সে ৫০ হাজার টাকা দিয়ে সহযোগিতা করেছেন।
এক বছর আগে ফিল্ড অফিসার পদে আব্দুর রহমানের বুরো বাংলাদেশে চাকরি হয়। পরে সে নারায়নগঞ্জে চলে যায়। তারপরও তাদের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ হয়।
গত বৃহস্পতিবার (১৭ ডিসেম্বর) আব্দুর রহমান তাকে ফোন করে তাকেই বিয়ে করার প্রতিশ্রুতি দেয়। তবে শুক্রবার বিয়ে করার পর শনিবার সকালে তিনি বি’ষয়টি জেনে তার বাড়ি অ’নশন শুরু করে।
পরে তার পরিবারের লোকজন তাকে বেধরক মা’রধর শুরু করে। স্থানীয়ারা এসে তাকে উ’দ্ধার করে। এলাকার মাতাব্বররা সমাধানের আশ্বাস দিয়ে তাকে চিকিৎসা নিতে বলে। সে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছে।
প্রে’মিকা বলেন, আমার পৃথিবীতে মা-বাবা কেউ নাই। আমার অন্যত্র বিয়ে আসলে আব্দুর রহমান আমাকে বিয়ে করতে দেয়নি। সে আমাকে বিয়ে করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
আমার কাছ থেকে অনেক টাকা নিয়েছে সে। বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতেও গিয়েছি। দুজনের সাথে অনেক কিছু হয়েছে। কিন্তু আমাকে রেখে গো’পনে অন্যত্র বিয়ে করছে। আব্দুর রহমান আমাকে বিয়ে না করলে আত্মহ’ত্যার মতো আমি যে কোন ধরনের দু’র্ঘ’টনা ঘটবো। এ
বি’ষয়ে আব্দুর রহমানের সাথে বারবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি। স্থানীয় মাতাব্বর নজরুল জানান, বি’ষয়টি সমাধানের চেষ্টা চলছে। তবে স্থানীয় ইউপি সদস্য ছোরমান মিয়া জানান, বি’ষয়টি তার জানা নেই।
এ বি’ষয়ে গালা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাজকুমার সময়ের কন্ঠস্বর’কে জানান, বি’ষয়টি তিনি শুনেছেন।