প্রতিদিন সকালে বিমানের কোনো এক ফ্লাইটে উঠে চলে যান অন্য শহরে। সারাদিন অভিজাত শপিং কমপ্লেক্সগুলোতে ঘোরাফেরা করে খুঁজে বের করেন কোনো ধ’নী ব্যক্তিকে।
তারপর সুযোগ বুঝে তার হাতব্যাগটা নিয়ে সরে পড়েন। সন্ধ্যায় আবারো বিমানে করে ফিরে আসেন নিজের বাসায়। এমনই এক অভিযোগে এক না’রীকে গ্রে’ফতার করেছে পু’লিশ।
জানা গেছে, ওই না’রীর নাম মুনমুন হুসেন ওরফে অর্চনা বড়ুয়া। তার বাড়ি ভারতের কলকাতায়। তবে থাকেন বেঙ্গালুরুতে।
বিমানে ঘুরে ঘুরে সকাল থেকে সন্ধ্যা ধ’নী ব্যক্তিদের টার্গেট করে সুযোগ বুঝে তাদের জিনিসপত্র চু’রি করতেন এই না’রী। বেঙ্গালুরু থেকে এই না’রীকে গ্রে’ফতার করেছে মুম্বাই পু’লিশের ক্রা’ইম ব্রাঞ্চ। অসংখ্য হাইপ্রোফাইল চু’রির মা’মলায় অ’ভিযুক্ত এই না’রী।
পু’লিশ জানায়, অর্চনা আগে অর্কেস্ট্রা বারে গান গাইতেন। পরে পেশা হিসেবে বেছে নেন দেশের সর্বত্র ঘুরে ঘুরে চু’রি করা। ২০০৯ থেকে চু’রি করছেন তিনি। অর্কেস্ট্রা সিঙ্গারের কাজ হা’রানোর পর এসেছেন এই পেশায়।
মুম্বাই পু’লিশ আরো জানায়, গত বছর থেকে এই না’রীর খোঁজ করছিলেন তারা। এক না’রী অভিযোগ করেন, মুম্বাইয়ের লোয়ার প্যানেলের হাই স্ট্রিট ফিনিক্স শপিংমলের জারা শোরুম থেকে তার ব্যাগ চু’রি হয়ে যায়। ব্যাগে তার ফোন, সোনার গয়না ও ১৪.৯০ লাখ নগদ টাকা ছিল।
পু’লিশ সিসিটিভি ফুটেজে দেখতে পায়, অভিযোগকারি না’রী বিল দেয়ার জন্য ব্যাগটি মাটিতে নামিয়ে রেখেছিলেন। সেটি তুলে নিয়ে হেটে চলে যান অর্চনা।
ত’দন্তে নেমে তারা দেখে, ২০১৮ সালেও লোয়ার প্যানেলের অন্য একটি জারা আউটলেট এবং শিবাজি পার্কের এক ল্যাকমে বিউটি পার্লারে এমনই অ’পরাধ ঘটেছে। সবখানেই অ’পরাধী একই ব্যক্তি।
গ্রে’ফতারের পর তার কাছ থেকে গয়না, টাকা, মোবাইল ফোন এবং ব্যাগে থাকা কাগজপত্র উ’দ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পু’লিশ। তিনি কলকাতা, হায়দরাবাদ ও বেঙ্গালুরুতেও একই ধাঁচে চু’রি করেছেন বলে পু’লিশের কাছে স্বীকার করেছেন।