সেন্টমার্টিন থেকে টেকনাফে ফেরার পথে বঙ্গোপসাগরে জাহাজের ইঞ্জিন বিকল হয়ে আ’টকা পড়েছিলেন দুইশ’ পর্যটক। দুই ঘণ্টার বেশি সময় সাগরে ভাসার পর স্পিডবোট ও ট্রলারে দ্বীপে ফিরে যেতে হয়েছে তাদের।
রোববার বিকেলে টেকনাফ-সের্ন্টমার্টিন রুটে চলাচলকারী ‘এসটি ভাষা শহীদ সালাম’ নামে পর্যটকবাহী জাহাজটি এ দু’র্ঘ’টনার কবলে পড়ে।
দ্বীপে বেড়াতে আসা পর্যটক সায়েদ আলমগীর বলেন, জাহাজটি ধীরে ধীরে মিয়ানমার জলসীমার দিকে ভেসে যাচ্ছে দেখে আ’তঙ্কিত পর্যটকদের মাঝে কয়েকজন জাতীয় সেবা ৯৯৯-এ কল করে সহযোগিতা চান।
পরে সেন্টমার্টিন কোস্টগার্ড, পু’লিশ ও নৌবাহিনীর যৌথ প্রচেষ্টায় জাহাজ থেকে পর্যটকদের সন্ধ্যার দিকে কাঠের নৌকায় করে তীরে আনা হয়। ৯৯৯-এর সহযোগিতা না পেলে হয়ত আমরা মিয়ানমার জলসীমা অতিক্রম করে সেদেশের সীমান্তক্ষী বাহিনীর হাতে গ্রে’প্তার হতাম।
এসব ত’থ্য নিশ্চিত করে সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুর আহম’দ বলেন, ‘দ্বীপ থেকে দুই শতাধিক পর্যটক নিয়ে একটি পর্যটকবাহী জাহাজ টেকনাফে ফেরার পথে মাঝ পথে সাগরে ইঞ্জিন বিকল হয়ে পড়ে। পরে স্পিডবোট ও ট্রলারে করে পর্যটকদের উ’দ্ধার করে সেন্ট মার্টিনে নিয়ে আসা হয়।’
দ্বীপে পরিববার নিয়ে ভ্রমণে আসা টেকনাফ পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি মোহাম্ম’দ শাহীন বলেন, টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌ-পথে জাহাজটি রোববারই প্রথম আড়াই শতাধিক পর্যটক নিয়ে সেন্টমার্টিন যাত্রা শুরু করে। অর্ধশতাধিক পর্যটক রাত্রিযাপনের জন্য থেকে গেলে বাকি দুই শতাধিক যাত্রী নিয়ে টেকনাফ ফেরার পথে এ দুর্ভোগে পড়েন তারা। এসময় জাহাজটি মিয়ানমার জলসীমানায় দিকে চলে যাওয়ায় অনেক না’রী ও শি’শু কা’ন্নাকাটি করেন।
টেকনাফ উপজে’লা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মোহাম্ম’দ সাইফুল ইসলাম বলেন, জাহাজ বিকল হওয়ায় পর্যটকরা টেকনাফে ফিরতে পারেনি। সবাই নিরাপদে আছেন।