সিনেমা’র পর্দা যেন ঘোড়ার পিঠে চড়ে জামা খোলার মতো সেই সা’র্কাসের খেলা। প্রত্যেকটা দৃ’শ্যে নতুন নতুন পোশাকের ঝল’ক।
সারা ছবিতে নায়ক-নায়িকার পরা সমস্ত পোশাক একত্র করলে একটা জামাকাপ’ড়ের দোকান খু’লে ফেলা যায় অনায়াসে। এর মধ্যেও কিছু পোশাক থাকে যা দ’র্শককূলের মনে দাগ কে’টে যায়।
‘চন্না মে’রেয়া’ গানে অনুষ্কার সেই বিয়ের সাজ অথবা ‘বাজিরাও ম’স্তানি’র ‘দিওয়ানি মস্তানি’ গানে দীপিকার সেই অপূর্ব ক’স্টিউমের কথা ভোলা যায় না।
কিন্তু সেই সমস্ত ড্রে’সের জীবনকাল তো মোটে কয়েক সেকেন্ড, বড়জোড় কয়েক ঘণ্টা। তারপর কী হয় এই সমস্ত পোশাকের? ব’হুমূ’ল্য এই পোশাকগুলো আর কখনও পরতে দেখা যায় না নায়ক-নায়িকাদের।
তা হলে কারা পরেন এই পোশাকগুলো? নাকি আর কখনও ব্যবহারই হয় না? আ’সলে শু’টিং শেষ হয়ে যাওয়ার পর বেশির ভাগ সময়ই প্র’ডাকশন হাউসের স্টোর রুমে রাখা থাকে সেই সম’স্ত পোশাক।
প্রতিটি ছবির জন্য আলা’দা আলা’দা বাক্স তৈরি করা হয়। উপরে ছবির নামের স্টিকার লা’গানো থাকে। স্টি’কার লা’গানো সেই বাক্সের মধ্যেই রাখা থাকে পোশাকগুলো।
তা হলে কী এত সব দামী পোশাক এ ভাবেই বাক্সব’ন্দি হয়ে প’ড়ে থাকে দিনের পর দিন? উত্তরটা অবশ্যই ‘না’। আ’সলে, সাধারণ মানের পোশাকগুলোই এ ভাবে রাখা হয়।
পরে তা সেই প্র’ডাকশনেরই অন্য ছবির পা’র্শ্ব চ’রিত্রদের পরতে দেওয়া হয়। তাহলে দামী ডিজাইনার পোশাকগুলোর ভবি’ষ্যৎ কী?
‘বম্বে ভেলভেট’-এ ৩৫ কেজির একটি সবুজ গাউন পরেছিলেন অনুষ্কা শর্মা। ‘চন্না মে’রেয়া’ গানে তার পরা লেহেঙ্গাটির ওজন ছিল ১৭ কেজি। বেশির ভাগ সময় শু’টিংয়ের পর এই ডিজাইনার পোশাকগু’লি নিজেদের স্টু’ডিওর জন্য ফেরত নিয়ে নেন ডিজাইনাররা।
আবার অনেক সময় উ’ল্লেখযোগ্য সিনেমা’র বিখ্যা’ত কোনও পোশাক নায়ক-নায়িকা নিজে’র কাছেই সংগ্র’হ করে রেখে দেন। মাঝেমধ্যে নিলামও হয় এই পোশাকগু’লির।