বাসর ঘরে ডুকেই দেখলাম বউ আমার চিটপটাং হয়ে ঘুমাচ্ছে৷ আজ যে তার বিয়ে হয়েছে তা হয় তো তিনি ভূলেই গেছেন।
আমিঃ এই যে ইরাবতী উঠেন! শুনেছি নাম ইরা এই যে ফুলটুসি উঠেন (গায়ে ধাক্কা দিয়ে) বউঃ মোরামুরি দিয়ে উঠে বসে, লজ্জা করে না অপরিচিত একটা মে’য়ের গায়ে হাত দিতে
আমিঃ আরে আজব তো আমি তোমাকে বিয়ে করেছি।
তুমি আমার বউ। বউঃ তো কিনে নিয়েছেন নাকি। যা ইচ্ছে তাই করবেন, আমিঃ বিয়ে সম্পকে কিছু জানো। বউঃ পরে জানবো এখন ঘুম পাচ্ছে অনেক গুড নাইট। আমিঃ আরে আজকে বাসর রাত, আজ একটু জেগে থাকেন। বউঃ দেখেন পেচাল পারবেন না।
আপনার জন্য ১১ টা থেকে সারে বারোটা পযন্ত জেগে ছিলাম। আর পারবো না, বির’ক্ত করবেন না।
আমিঃ তোমাকে তোমার ভাবি বা বান্ধবি কিছু বলে নি বাসর রাত নিয়ে। বউঃ আপনি তো একটা অসুভ্যে অপরিচিত একটা মে’য়েকে তুমি করে বলছেন ,আপনাকে আপনার বাপ মা শিখায় নি।
আমিঃ আচ্ছা পরিচিত হয়ে নেই। বউঃ কেন বির’ক্ত করছেন শুধু শুধু। আমিঃ আচ্ছা আপু আপনি ঘুমান (আমার বাসর রাত জলে গেলো)। গিয়ে ঠাস করে দরজা লাগিয়ে দিলাম। বউঃ সুয়া থেকে উঠে বসলো, দরজা লাগালেন কেনো। আমিঃ না খুলে রাখি চোর এসে
আমার সব কিছু নিজের মনে করে নিয়ে যাক বউঃ….! কিছু বললো না আবার শুইয়ে পরলো। আমিঃ ওয়াশরুম থেকে কাপর পাল্টে খাটে এসে বসলাম।
বউঃ আবার উঠে বসলো কা’ন্না ভেজা চোখে তাকালো। আমিঃ কি? বউঃ খাটে উঠলেন কেন। আমিঃ না খাটে উঠবো না তো আসমানে উঠবো। বউঃ একটু শান্তি মত কি ঘুমাতেও দিবেন না ভাইয়া।অ’সহায় ভাবে তাকালো।
আমিঃ হ তুমি সান্তিতে ঘুমাও আমি অশান্তিতে ভূগি। তুমি কি অটিযম শি’শু নাকি। বউঃ কিসের ঘুম কিসের কি, একবারে কলার চে’পে ধরে।
নিজের লিমিটে থাকবেন, কিছু বলছি না দেখে,কি মনে করছেন (চোখ রাঙ্গিয়ে)। আমিঃ আচ্ছা সরি (মে’য়ে মানুষ রাগলে এত কিউট লাগে জানতাম না, কিন্তু বউ কে পটাবো কেমনে। যা বলি তাতেই খেপে যায় আমার তো বিরাল মা’রতে হবে )।
বউঃ আমি এখন ঘুমাবো আর একবার যদি বির’ক্ত করছেন তো খবর আছে। আমিঃ আচ্ছা কাপর তো পাল্টে নেন। বউঃ লাগবে না। আমিঃ নাস্তা খাবেন। বউঃ উফ, ম’রন। আমিঃ আচ্ছা আমি এই পাশে একটু ঘুমাই। বউঃ না।
আমিঃ তো আমি কোথাই ঘুমাবো অ’সহায় কন্ঠে।
বউঃ ফ্লোরে ঘুমান তো। আমিঃ আমার রুম আমি ফ্লোরে ঘুমাবো না। বউঃ আচ্ছা মাঝখানে একটা বালিশ দিয়ে ঘুমান তো? আমিঃ এই তো সুযোগ তুমি একবার ঘুমাও দেখো আমি কি করি। আচ্ছা বলে একটা বালিশ দিয়ে শুইলাম।
ইরাঃ একটু পর ,দেখেন আপনাকে বিশ্বাস করে খাটে শুইতে দিলাম, বিশ্বাসের ঘরে চু’রি করবেন না। আমিঃ হুউ একবার ঘুমাও। লাইট অফ করতে চিল্লাই উঠলো। ইরাঃ লাইট দেন বলছি। আমিঃ আমাকে বিশ্বাস করতে পারেন ,সত্যি বলছি।
ইরাঃ না লাগবে না? আমি কাউকে বিশ্বাস করি না কি আর করার অতপর লাইট দিয়েই রাখলাম। সে ঘুমাচ্ছে কিন্তু আমার মন আনচান আনচান করছে কি মায়াবি চেহেরা , সুর সুর করে বালিশ সরিয়ে ফ্লোরে ফে’লে দিলাম।
একবার ভাবছি কাছে যাবো আরেকবার ভাবছি না থাক। সবুরে মােওয়া ফলে, তারপরে ও আস্তে করে বুকে টেনে নিলাম। আর আগালাম না। সকালে তো ঘুম ভাঙ্গতেই আমি অষ্টম আর্চয দেখে ফেললাম ,আমার বউ আমার বুকে মুরগির বাচ্চার মত।
গুটিসুটি হয়ে লেপ্টে, গভীর ঘুমে তলিয়ে আছে। আর বালিশ ফ্লোরে পরে আছে, আর শাড়ি অর্ধেক খুলে মাটিতে….! বুঝাই যায়। সে এটা টের পেলে ভূমিকম্প শুরু হয়ে যাবে কিন্তু বউ তো আমারই যা হবে দেখা যাবে। আমি আবার ঘুমিয়ে গেলাম। সারে সাতটার উপরে বাজে।
ছোটবোন দরজার নক করলো। ফারিয়া: ভাইয়া….. ভাইয়া। উঠ …..আম্মু ডাকছে বউ পেয়ে কি আজ ঘুম ভাঙ্গে না। অমনি ইরা জেগে গেলো। হঠাৎ বুকের মাঝে পিপরার কামর অনুভূব করলাম। আমার ও ঘুম ভেঙ্গে গেলো। দেখি ইরা চিমটি দিচ্চে।
ইরাঃ ছারেন বলছি ,ছারেন। আমিঃ হাত দুটো ফাকা করতেই, ও দিক সরে গিয়ে কাপর ঠিক করতে লাগলো আর রাগি লুক নিয়ে ইরাঃ অসুভ্যো।
আমিঃ ও হ্যালো আপনি আমার জায়গায় আসছেন। আমার কি দোষ। ইরাঃ তো এদিকে সরিয়ে দিলে তো পারতেন আর জরিয়ে নিলেন কেনো। আমিঃ হইছে আমি অত দয়ালু না। ইরাঃ জানি জানি লু’ইচ্চা একটা।
তারপর কাপর নিয়ে ওয়াশ রুমে ডুকে গেলো। আর আমার মনে তো লাড্ডু ফুটছে খুশিতে। দরজা খুলতেই ছোট বোন এসে বলে গেলো। আম্মু নাস্তার টেবিলে নাস্তা দিচ্ছে ভাবিকে নিয়ে খেতে আয় হাসতে হাসতে বলে গেলো।
আমিঃ তুই যা৷ ইরাঃ গোসল করে বের হইলো। আমিঃ গোসল করলেন কেনো। ইরাঃ বাসর করলে গোসল করতে হয়। আমিঃ আয় হায়। কিন্তু আমি তো করি নি। ইরাঃ না করলে কার কি। আমিঃ হঠাৎ মনে পরলো রাতের কথা, তার মানে ও সব কিছু জানে।
তাহলে এত অভিনয় কেনো করলো। ইরাঃ যান গিয়ে গোসল করে নেন খুব খিদা লাগছে কাল দুপুর থেকে কিছু খাই নি। আমিঃ গোসল করবো না। ইরাঃ গোসল করে নেন আপনার জন্য সারপাইজ আছে। আমিঃ আহ হয় তো কিস দিবে, মনে মনে।
দারান ২ মিনিট ৫ মিনিটে গোসল করে ফেস হয়ে
আসছি …..! (পরিচয়টা দিয়ে নেই, আমি,… ওয়াস রুম থেকে ফেস হয়ে। এসে দেখি ও নিচে চলে গেছে। গাধির ছাও ল’জ্জা শরম নাই একটু ও তারপর কাপড় পরে সিরি দিয়ে নিচে নামছি। আম্মু আব্বু দেখি আমার দিকে তাকিয়ে আছে ইসসরে কি লজ্জা।
রাতে একটা মে’য়ের সাথে ঘুমাইছি। মন চায় আবার রুমে চলে যাই অতপর ল’জ্জাশরমের মাথা খেয়ে নাস্তা করতে বসলাম ইরা আমার দিকে রাগি লুকে তাকাচ্ছে আর খাচ্ছে আমি একটা পাউরুটি চিরে মুখে দিয়েছি..!
ইরাঃ আঙ্কেল আপনাদের ছেলের চরিত্রে সমস্যা আছে ও রাতে আমার বুকে হাত দিতে চায়। আব্বু কাশতে কাশতে চেয়ার ছেরে উঠে গেলো।
আমিঃ লে হালুয়া আমার আর খাওয়া ,পাউরুটির টুকরো গ’লায় আ’টকে গেছে হেচকি উঠতেছে। পাপাপানি…..পানি….এই ছিলো সারপ্রাইজ। মান সন্মান সব নিলামে উঠাইলো। চলবে