রাজধানীর সেগুনবাগিচার শিল্পকলা একাডেমি প্রাঙ্গণে ম’রদে’হে সর্বস্তরের মানুষ শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে বিকেলে বনানীতে দাফন করা হবে বর্ষীয়ান অভিনেতা আবদুল কাদেরকে।
শনিবার (২৬ ডিসেম্বর) সকালে তার পুত্রবধূ জাহিদা ইসলাম জেমি সংবাদমাধ্যমকে এ কথা জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘হাসপাতাল থেকে ম’রদে’হ নিয়ে যাওয়া হবে মিরপুর ডিওএইচএস-এর বাসায়। ডিওএইচএস জামে মসজিদে প্রথম জানাজা হওয়ার কথা রয়েছে।’
আবদুল কাদেরের পুত্রবধূ আরও বলেন, ‘পরে বিকেল সাড়ে ৩টা থেকে সেগুনবাগিচার শিল্পকলা একাডেমি প্রাঙ্গণে ম’রদে’হে সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য রাখা হবে। এরপর বনানী কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।’
ক্যানসারে আ’ক্রান্ত গুণী অভিনেতা আবদুল কাদের সকাল ৮টা ২০ মিনিটে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে মা’রা যান। মৃ’ত্যুকালে তার ব’য়স হয়েছিল ৬৯ বছর।
১৯৫১ সালে মুন্সীগঞ্জ জে’লার টঙ্গীবাড়ী থানার সোনারং গ্রামে জ’ন্ম নেওয়া কাদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নেওয়ার পর সিঙ্গাইর কলেজ ও লৌহজং কলেজে অধ্যাপনায় নিযুক্ত হন।
পরে বিটপী বিজ্ঞাপনী সংস্থায় এক্সিকিউটিভ হিসেবে যোগ দেন। বিটপী ছেড়ে পরে তিনি বাটায় যোগ দেন ১৯৭৯ সালে; সেখানে ছিলেন ৩৫ বছর।
১৯৭৫ সাল পর্যন্ত ডাকসু নাট্যচ’ক্রের কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্য ছিলেন কাদের। ১৯৭৩ সাল থেকে থিয়েটার নাট্যগোষ্ঠীর সদস্য এবং চার বছর যুগ্ম-সম্পাদকের ও ছয় বছর সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। পরে তিনি থিয়েটারের পরিচালক (প্রশিক্ষণ) হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
তার অভিনীত মঞ্চনাটকগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘পায়ের আওয়াজ পাওয়া যায়’, ‘এখনও ক্রীতদাস’, ‘তোমরাই, স্পর্ধা’, ‘দুই বোন’, ‘মেরাজ ফকিরের মা’।
এছাড়া দেশের বাইরে জাপান, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, কলকাতা, দিল্লি, দুবাইয়ের মঞ্চেও তিনি বাংলা নাটকে অভিনয় করেছেন।