‘আমি লুবাবা। আপনারা কেন আমার দাদাকে নিয়ে ফেক নিউজ বানাচ্ছেন। উনি তো আমাদের মাঝে এখনো বেঁচে আছেন। উনাকে নিয়ে ফেক নিউজ বানালে আমার ক’ষ্ট লাগে।
উনি তো আমার জানের দাদা। আমার কি ক’ষ্ট লাগে না? ফেক নিউজ না বানিয়ে দোয়া করেন।’
দাদা আবদুল কাদেরকে নিয়ে বারবার মৃ’ত্যুর গুজব ছড়ানোর পর এভাবেই এক ভিডিও বার্তা দিয়েছিলো ছোট্ট সিমরিন লুবাবা।
আজ সে অবিরাম কাঁদছে। ফুলে থাকা র’ক্তিম দুটি চোখ সাক্ষী দিচ্ছে ‘জানের দাদা’র বিদায় মেনে নিতে পারছে না তার কচি হৃদয়। সেখানে আজ প্রিয়জন হা’রিয়ে ফেলার শো’কের সমুদ্র জেগেছে।
আজ শনিবার (২৬ ডিসেম্বর) সকাল ৮টা ২০ মিনিটে প্যানক্রিয়াসের (অগ্ন্যাশয়) ক্যা’ন্সারে ভুগে মা’রা গেছেন দেশের নন্দিত এ অভিনেতা। রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মা’রা যান তিনি।
তারপর থেকেই কা’ন্না থামছে না আবদুল কাদেরের নাতনি লুবাবার। অভিনেতার বাসভবন মিরপুর ডিওএইচএসে গিয়ে স্বজনদের কাছ থেকে সে কথাই জানা গেল।
ডিওএইচএস জামে মসজিদে বাদ জোহর অনুষ্ঠিত হয়েছে আবদুল কাদেরের জানাজা। সেখান থেকে ম’রদে’হ লা’শবাসী অ্যাম্বুলেন্সে করে নিয়ে যাওয়া হবে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির প্রাঙ্গণে।
তার প্রস্তুতি চলছে। এমন সময় দেখা পাওয়া গেল লুবাবার। মায়ের স’ঙ্গে দাদার লা’শের দিকে অপলক তাকিয়ে আছে সে।
কথা বলতে চাইলেই ফুপিয়ে কেঁদে উঠলো। জানালো দাদার দিয়ে যাওয়া শেষ উপদেশগুলো। লুবাবা বলে, ‘দাদা বলে গেছেন সবসময় যেন ভালো কাজ করি। ভালো মানুষদের স’ঙ্গে যেন চলি। সবসময় বড়দের স’ঙ্গে ভালো ব্যবহার করবে।’
এদিকে আবদুল কাদেরের পুত্রবধূ জাহিদা ইসলাম জেমি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেছেন, আজ শনিবার মাগরিব নামাজের পর রাজধানীর বনানীতে সমাহিত করা হবে আবদুল কাদেরকে।
‘কোথাও কেউ নেই’ নাটকের চরিত্র ‘বদি’ খ্যাত আবদুল কাদেরের জ’ন্ম মুন্সীগঞ্জ জে’লার টঙ্গীবাড়ী থানার সোনারং গ্রামে। তার বাবা মরহুম আবদুল জলিল। মা মরহুমা আনোয়ারা খাতুন।
স্ত্রী খাইরুননেছা কাদেরের স’ঙ্গে সু’খের দাম্পত্যে তিনি এক ছেলে ও এক মেয়ের জনক। রেখে গেছেন নাতি-নাতনিসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী ও বন্ধু স্বজন।