ঘুম থেকে উঠেই মানুষকে নামাজের দাওয়াত দেন এই ‘আল্লাহর পা’গল’ জয়নাল আবেদীন
আল্লাহর পা’গল- এমন ভালো কথার দ্বারা মানুষকে সর্বদা সৎপথে ডা’কার কাজে নিজেকে নিয়োজিত করেছেন শেখ জয়নাল আবেদীন।
ঢাকার দো;হার উ;পজে’লার দোহার খালপাড় এলাকার মৃ’;ত শেখ জালাল উদ্দিনের ছে’লে তিনি।ঘুম থেকে উঠেই নিত্যদিনের কাজে পরিণত করেছেন মানুষকে আল্লাহর পথে সংঘবদ্ধ করার জন্য।
এলাকায় তাকে সবাই এক না;মে জানেন এবং চেনে। পরিবারিক সূত্রে জানা গেছে, পরিবারে দুই ভাই আর পাঁচ বোনের মধ্যে জয়নাল সবার ছোট। বড় ভাই স্থানীয় একটি প্রাই’মা’রি স্কুলে;র প্রধান শিক্ষক।
জয়;নাল ১৫ বছর আগে সৌদি আরবে গিয়ে;ছিলেন চাকরির সু;বাদে। সেখানে চাকরি করছেন ৯ বছর। সৌদি আরবে থাকাকালীন বিয়েও করেন। বর্তমানে ৮ বছরের একটি কন্যাস’ন্তান রয়েছে।
ফজরের নামা;জের পর বাড়ি থেকে বের হয়ে দুটি উপজে’লা অর্থাৎ নবাবগঞ্জ ও দো;হারের রাস্তায়, হাটে-বাজারে, মাঠে-ঘাটে যেখানেই মানু;ষের সমা;গম দেখেন সেখানেই না;জের দাওয়াত দেন।
বিশে;ষ করে প্র;ত্যেক নামা;জের ওয়া;ক্তের আগে নামা;জের সংকেত দিয়ে যান যাতে মু’সল্লিরা ব্যস্ততা কাটিয়ে নামাজে যেতে পারেন। তিনি নিজেও জামাতের সাথে ৫ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করে থাকেন, পাশাপাশি মানুষকে সৎপথের দিকে আ;হবান করেন।
এ ব্যাপারে কথা হয় জয়নাল আবেদীনের স্ত্রী’’ ইসমত আরার সাথে। তিনি বলেন, ‘তিনি (জয়নাল) নয় বছর সৌদি আরবে ছিলেন। আমা’র শ্বশুর যখন মা’রা যান তখন থেকেই তিনি একটু অন্যরকম হয়ে যান।
আম’রা মনে করেছিলাম হয়তো তার মা’নসিক সমস্যা হয়েছে। ঢাকায় নিয়ে চিকিৎসা করিয়েছি কিন্তু আগের মতো স্বাভাবিক হচ্ছে না। মনেপ্রা’ণে আল্লাহকে বিশ্বা’স করেন বলেই মানুষকে ভালো কাজের দিকে ডাকেন।’
জয়নাল আবেদীন বলেন, ‘মানুষ এতো বেশি দুনিয়ামুখী যে, তারা সৃষ্টিক’র্তাকে ভু’লে গেছে। আর যারা পরকালকে বিশ্বা’স করেন তারা আল্লাহর পা’গল। আমি মানুষজনকে নামাজের জন্য ডাকি,
এতে কেউ যদি আমাকে পা’গল বলে বলুক। আমি আল্লাহর পা’গল হতে চাই, দুনিয়ার পা’গল নয়।’
তিনি আরও বলেন, আম’রা আজ দুনিয়ার সাময়িক মোহের মধ্যে পড়ে গেছি কিন্তু আম’রা সবাই জানি যে, পৃথিবী আমাদের ক্ষণস্থায়ী জীবন আসল জীবন আমাদের মৃ’ত্যুর পরের জীবন।
আল্লাহ যা করতে নি’ষেধ করেছেন তা আম’রা প্রতিযোগিতার মাধ্যমে বেশি বেশি করার চেষ্টা করছি।
দুনিয়া এ সবি বৃথা যাবে কোনো কাজে আসবেনা। আমি আমা’র জায়গা থেকে সর্বাত্মক চেষ্টা চা’লিয়ে যাচ্ছি। যতদিন বেঁচে আছি মানুষের মাঝে দাওয়াত দিয়ে যাবো।