সিলেটের শহরতলিতে এক কি’শোরীকে আ’টকে কথিত প্রে’মিক ও তার বন্ধুরা মিলে ধর্ষণ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এছাড়াও পানির স’ঙ্গে মিশিয়ে গ’র্ভ ন’ষ্ট করার ও’ষুধও খাওয়ানো হয় ওই কি’শোরীকে।
এ ঘ’টনায় দুই যুবককে আ’টক ও কি’শোরীকে উ’দ্ধার করেছে সিলেটের গোয়াইনঘাট থানা পু’লিশ। স্থানীয় ও পু’লিশি সূত্রে জানা গেছে, বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে গেলো
২০ নভেম্বর রাতে গোয়াইনঘাট উপজে’লার তোয়াকুল ইউনিয়নের পূর্ব-পেকেরখাল গ্রামের এক কি’শোরীকে নিয়ে পা’লিয়ে যায় জাকির আহমেদ মুহসিন (২৪) নামের এক যুবক।
ওইদিন রাত ১০ টার দিকে কি’শোরীর বাবা-মা তাদের মে’য়েকে খোঁজে না পেয়ে পরবর্তীতে জানতে পারেন জাকির তাদের মে’য়েকে নিয়ে পা’লিয়ে গেছে। পরে ওই কি’শোরীর বাবা জাকিরকে অ’ভিযুক্ত করে গোয়াইনঘাট থানায় একটি অভিযোগ দা’য়ের করেন।
এ অভিযোগের ভিত্তিতে গোয়াইনঘাট সালু’টিকর পু’লিশ ত’দন্ত কেন্দ্রের ই’নচার্জ ইন্সপেক্টর মো. শফিক ইসলাম খান ওই কি’শোরীকে উ’দ্ধার এবং জাকিরকে গ্রে’প্তারের জন্য গোয়াইনঘাট ও সিলেট সদর উপজে’লার বিভিন্ন স্থানে একাধিক অ’ভিযান পরিচালনা করেন।
অবশেষে গতকাল রোববার সন্ধ্যার দিকে শাহপরাণ থানাধীন সিলেট শহরতলির কল্লোগ্রাম এলাকা থেকে ওই কি’শোরীকে উ’দ্ধার করে পু’লিশ।
এছাড়াও শাহপরাণ থানাধীন পীরের চক গ্রামের ফারুক আহম’দের ছেলে মো. জাকির হোসেন ও চেরাগ আলীর ছেলে আলী হোসেনকে গ্রে’প্তার করা হয়।
এদিকে, নি’র্যাতিতা কি’শোরী এই প্রতিবেদককে জানান- জাকিরের স’ঙ্গে তার প্রেমের সম্প’র্ক ছিল। ২০ নভেম্বর রাতে তার বাড়িতে হঠাৎ জাকির উপস্থিত হয়ে বলে তার স’ঙ্গে ওই কি’শোরীকে পা’লিয়ে যেতে।পা’লিয়ে না গেলে জাকির আত্মহ’ত্যার হু’মকিও দেয়।
পরে ওই কি’শোরী ভ’য় পেয়ে কাউকে না বলে জাকিরের হাত ধরে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান।
কি’শোরীকে নিয়ে ওইদিন রাতে চেঙ্গেরখাল নদীর পারে জাকির আরও চার থেকে পাঁচজন যুবকের স’ঙ্গে মি’লিত হন।
জাকির এ সময় এই যুবকদের বন্ধু বলে পরিচয় দেন কি’শোরীর কাছে। কিন্তু ওই রাতেই কি’শোরীর চোখ বেঁ’ধে বিভিন্ন স্থানে নিয়ে গিয়ে ওরা সবাই পালাক্রমে ধর্ষণ করে।
গেলো আট দিনে ওরা সবাই একাধিকবার ওই কি’শোরীকে ধর্ষণ করে। এছাড়াও কি’শোরীর কথিত প্রে’মিকও তার বন্ধুরা পানির স’ঙ্গে মিশিয়ে গ’র্ভ ন’ষ্ট করার ও’ষুধ সেবন করান ওই কি’শোরীকে।
এ ব্যপারে সালু’টিকর পু’লিশ ত’দন্ত কেন্দ্রের ই’নচার্জ ইন্সপেক্টর মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, গোয়াইনঘাটের পূর্ব-পেকেরখাল গ্রামের ওই কি’শোরীর বাবা গোয়াইনঘাট থানায় একটি অ’পহরণের অভিযোগ দা’য়ের করেন।
গোয়াইনঘাট থানার ভারপ্রা’প্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল আহাদ বি’ষয়টি ত’দন্তের জন্য জন্য আমাকে দায়িত্ব দেন।
এরই আলোকে অ’ভিযান চা’লিয়ে ভি’কটিমকে উ’দ্ধার ও অ’ভিযুক্তদের গ্রে’প্তার করা হয়েছে।
গোয়াইনঘাট থানার ভারপ্রা’প্ত কর্মকর্তা মো. আব্দুল আহাদ এ বি’ষয়ে বলেন, ত’দন্তসাপেক্ষে আ’টকদের বি’রুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।