বাবাগাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজে’লার খৈকড়া এলাকার এক গৃহবধূকে জায়গা কিনে দেওয়ার কথা বলে ৭ লাখ টাকা নিয়ে জি’ম্মি করে ১৩ বছর ধরে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
গৃহবধূর একমাত্র স’ন্তানকে হ’ত্যা ও ধর্ষণের ভিডিও প্রকাশ করার ভ’য় দেখিয়ে অ’ভিযুক্ত ফারুক (৪৫) ধর্ষণ করে আসছিল বলে অভিযোগ করা হয়।
শুক্রবার কালীগঞ্জ থানার থানার পরিদর্শক (অপারেশন) মোজাম্মেল হক বি’ষয়টি নিশ্চিত করে জানান, এই ঘ’টনায় অ’ভিযুক্ত গাজীপুরের কালীগঞ্জের খৈকড়া এলাকার মৃ’ত ফজর আলীর ছেলে ফারুকের বি’রুদ্ধে মা’মলা হয়েছে। তাকে গ্রে’ফতারে চেষ্টা চলছে।
অভিযোগকারীরা জানায়, বৃহস্পতিবার (২২ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৬টার দিকে গৃহবধূর বাড়িতে ঢুকে আবারও হ’ত্যার হু’মকি দিয়ে জো’রপূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা করে ফারুক।
এদিন গৃহবধূর ছেলে বাড়িতে ছিল। সে বি’ষয়টির প্র’তিবাদ এবং চি’ৎকার করলে চার দিনের মধ্যে গৃহবধূক এবং তার স’ন্তানকে গ’লাকে’টে হ’ত্যার হু’মকি দিয়ে পা’লিয়ে যায় ফারুক।
ওই গৃহবধূর ছেলে তার নিজস্ব ফেসবুক আইডিতে ঘ’টনার বিস্তারিত বিবরণ দিয়ে সংশ্লিষ্টদের কাছে বিচার দাবি করে। ওই ছেলে জানান, তার মা ও সে হ’ত্যার ঝুঁ’কিতে রয়েছেন। সে ঢাকার একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র।
অভিযোগে জানা গেছে, ওই গ্রামের গৃহবধূর স্বা’মী ১৯৯৫ সাল থেকে কর্মসূত্রে দেশের বাইরে অবস্থান করছে। বছর তিন পর পর কিছুদিনের জন্য দেশে আসতেন।
২০০৭ সালের দিকে তিনি রাজধানীতে জমি কিনে দেওয়ার জন্য গৃহবধূর কাছ থেকে সাত লাখ টাকা নেন। বাবার বাড়ি থেকে এবং সুদে সংগ্রহ করে টাকাগুলো অ’ভিযুক্ত ফারুককে দেওয়া হয়।
এরপর জমি কিনে দেওয়ার প্রতিশ্রুতিতে ফারুক বিভিন্ন সময় কুপ্রস্তাব দিতে থাকে। এক পর্যায়ে ছেলেকে হ’ত্যা, টাকা ফেরত না দেওয়া এবং ভিডিও ভাইরাল করার ভ’য় দেখিয়ে জো’রপূবর্ক ধর্ষণ করে।
কালীগঞ্জ থানার থানার পরিদর্শক (অপারেশন) মোজাম্মেল হক জানান, মা’মলা রুজু হয়েছে। মা’মলার বি’ষয়ে ত’দন্ত চলছে। গৃহবধূর স্বাস্থ্য পরীক্ষা প্রক্রিয়াধীন। পরিবারের নিরাপত্তা দিতে অ’ভিযুক্তকে গ্রে’ফতারের তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।