পুরু’ষদের ঠিক কোন জিনিসগু’লি আকৃ’ষ্ট করে মে’য়েদের? নিজে’র প্রে’মিক বা স্বা’মীর ব্য’ক্তিত্বের কোন দিকটি তাঁদের সবথেকে বেশি পছন্দ? এই প্রশ্নের উত্তর দেওয়া ক’ঠিন, কারণ এক এক জনের পছন্দ এক এক রকম। কিন্তু স’ম্প্রতি লাইস্টাইল ইভেন্ট গ্রুপ ফেমিয়ানা-র দ্বারা পরিচালিত একটি সমীক্ষার ফলাফলে উঠে এসেছে একটি অদ্ভুত ত’থ্য।
সমীক্ষাটির লক্ষ্য ছিল, পুরু’ষদের প্রতি মে’য়েদের আক’র্ষণের কয়েকটি গো’পন কে’ন্দ্রবিন্দুকে আবি’ষ্কার করা, অর্থাৎ এমন কয়েকটি বি’ষয়—পুরু’ষদের ব্য’ক্তিত্বের যে দিকগু’লি অপছন্দ করার ভান করেন মে’য়েরা,
কিন্তু মনে মনে আ’সলে সেগু’লি পছন্দই করেন। ৬৭২৯ জন ম’হিলাকে প্রশ্ন করার পর সমীক্ষার ফলাফল স্বরূপ সংস্থাটি প্র’কাশ করেছে মে’য়েদের এমন ২০টি ‘গো’পন’ ভাললা’গার কথা। এখানে রইল সেই তালিকার প্রথম ৬টি বি’ষয়—
‘ও তো কোনও বি’ষয়ে আমা’র প’রামর্শই চায় না’: স্বা’মী বা প্রে’মিক স’স্পর্কে চিরচেনা অ’ভিযোগ। কিন্তু আদপে অন্য কারোর প’রামর্শ ছাড়াই সিদ্ধা’ন্ত নেওয়ার উপযুক্ত মা’নসিক দৃঢ়তা একজন পুরু’ষের মধ্যে মে’য়েরা পছন্দই করেন।
‘আমি যখন কথা বলব, তুমি চুপ করে থাকবে’: প্রে’মিক বা স্বা’মীর স’ঙ্গে ঝগড়ার সময়ে মে’য়েরা অনেকেই রেগে গিয়ে এই কথা বলেন। কিন্তু তার অর্থ এই নয় যে, তিনি সত্যিই চাইছেন তাঁর স’ঙ্গীটি মুখ বুজে থাকুক।
বরং ত’র্ক, এবং যুক্তির বিপক্ষে প্রতিযুক্তিই যে কোনও স’মস্যা সমাধানের সবচেয়ে কা’র্যকর উপায় তা জা’নেন যে কোনও বুদ্ধিমতী। কাজেই স’ঙ্গীর ত’র্কশীলতাকে মনে মনে তাঁরা পছন্দই করেন।
ওর তো সাত চড়ে রা নেই’: হ্যাঁ, ত’র্ক করা ভাল, কিন্তু তা বলে র’ক্তচক্ষু হয়ে চেঁচিয়ে বাড়ি মাথায় করা মোটেই কাজে’র কথা নয়। অনেক পুরু’ষ ভাবেন, তর্জন-গর্জনেই বুঝি পৌরুষের প্র’কাশ, ওটাই বুঝি পছন্দ করেন মে’য়েরা।
একেবারে ভু’ল। বরং ঝগড়ার মুহূ’র্তেও, স’ঙ্গিনীর কুবাক্য শুনেও মাথা ঠান্ডা রাখতে পারেন যিনি, তিনিই আক’র্ষণীয় পুরু’ষ। আপনার এই শীতলতা নিয়ে আপনার স’ঙ্গিনী কখনও-সখনও কটাক্ষ করলেও, জানবেন, মনে মনে আপনার এই স্বভাব তিনি পছন্দই করেন।
‘আবার ব’ন্ধুদের স’ঙ্গে আড্ডা দিতে বেরিয়ে গেছে!’: স্বা’মী বা প্রে’মিক নিজে’র ব’ন্ধুদের স’ঙ্গে আড্ডা দিচ্ছে বা ঘুরছে—এমনটা দেখলে/জানতে পারলে, মুখে মে’য়েরা যতই অসন্তোষ প্র’কাশ করুন না কেন, মনে মনে খুশিই হন।
আ’সলে ছেলেরা একটু সামাজিক হোক, অন্য ব’ন্ধুদের (অবশ্যই ছেলে ব’ন্ধু) স’ঙ্গে আড্ডা মা’রুক, সময় কা’টাক—এটা মে’য়েরা ভালই বাসেন। সমাজবি’চ্ছিন্ন একলা পুরু’ষের স’ঙ্গ তাঁদের নাপসন্দ।
সারাক্ষণ স্পোর্টস চ্যানেল খু’লে বসে থাকো কেন?’: দাম্পত্য জীবনে স্বা’মীর প্রতি স্ত্রীয়ের চেনা অ’ভিযোগ। আদপে কিন্তু মে’য়েরা খেলাধুলো, দৌড়ঝাঁপ ব্যাপারটাকে যথেষ্ট পুরু’ষালি বলে মনে করেন।
সেই কারণেই মে’য়েদের মধ্যে নামজাদা খেলোয়াড়দের এত জনপ্রিয়তা। নিজে’র কর্তাটি খেলতে না পারুক, অ’ন্তত খেলা দে’খতে ভালবাসে—এই ভাবনা মনে মনে শান্তি দেয় অধিকাংশ ম’হিলাকেই।
ও তো নিজে’র মনের কথা বুঝতেই দেয় না’: কথাটা অ’ভিযোগের সুরে বলা হলেও, নিজে’র মনের ভাব নিজে’র মধ্যেই সীমাবদ্ধ রাখতে পারাটা একজন পুরু’ষের মা’নসিক দৃঢ়তার পরিচায়ক বলেই মনে করেন মে’য়েরা।
তার অর্থ এই নয় যে, নিজে’র ভাল লা’গা, খা’রাপ লা’গা কোনও কিছুই নিজে’র স’ঙ্গিনীর স’ঙ্গে শেয়ার না করলে তাঁরা খুশি হবেন। তবে দু’শ্চিন্তা, কিংবা শো’কের আবেগ যাঁরা বেশি প্র’কাশ করেন না, সেইসব পুরু’ষকে পছন্দই করেন মে’য়েরা।