চালকবিহীন ড্রো’ন নির্মাণে ব্যাপক অগ্রগতির পর এবার চালকবিহীন যু’দ্ধ হেলিকপ্টার তৈরি করেছে তুরস্ক।
এটি যু’দ্ধক্ষে’ত্রে ব্যা’পক সময় উ’ড়তে ও দূ’রত্বে যেতে পারবে বলে জানিয়েছে নির্মাতা প্রতিষ্ঠান। টিটরা টেকনোলজির প্রধান নির্বাহী সেলমান ডোনমেজ জানিয়েছেন,
এই প্রযুক্তির মূ’ল উদ্দেশ্য মানব সর্ম্পৃক্ততা হ্রাস করা। নির্মাতা প্রতিষ্ঠান জানিয়েছে, এই হেলিকপ্টার ১৬০ কেজি ওজন বহনে স’ক্ষম।
আর এটি ৮৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত দূরত্বে যেতে পারবে। এই হেলিকপ্টারটি ৪ হাজার ৫৭২ মিটার উচ্চতায় উড়তে স’ক্ষম।
আরো পড়ুন: অতিথি পাখির আগমনে মুখরিত হাকালুকি হাওর:শীতে অতিথি পাখির আগমনে মুখরিত হয়ে উঠেছে সিলেটের হাকালুকি হাওর।
প্রতি বছর শীত মৌসুমে শীতপ্রধান দেশ থেকে বিভিন্ন প্রজাতির পাখি আসে হাকালুকি হাওরে। দেশের নানা প্রান্তের হাওর, বাঁওড়, বিল, হ্রদসহ অসংখ্য জলা’শয় অতিথি পাখির স্বর্গরাজ্য।
হাকালুকি হাওরে ছোট-বড়-মাঝারি সব মিলিয়ে ২৩৮টি বিল রয়েছে। এর মধ্যে বাইয়া, গজু’য়া, হাওরখাল, রঞ্চি ও কলাপানি জলা’শয়ে পাখির আধিক্য বেশি থাকে।
হাকালুকি হাওর শুধু দেশের সবচেয়ে বড় হাওর নয়, এটি এশিয়ার অন্যতম বৃহৎ মিঠাপানির জলা’শয় হিসেবেও পরিচিত। ১৮ হাজার ১১৫ হেক্টর আয়তন।
মৌলভীবাজার ও সিলেট জে’লার পাঁচ’টি উপজে’লায় এটি বিস্তৃত। এর মধ্যে মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজে’লায় ৪০ শতাংশ, কুলাউড়া উপজে’লায় ৩০ শতাংশ, সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ উপজে’লায় ১৫ শতাংশ, গোলাপগঞ্জ উপজে’লায় ১০ শতাংশ ও বিয়ানীবাজার উপজে’লায় ৫ শতাংশ অংশ রয়েছে।
সরেজমিন এই প্রতিবেদক হাকালুকি হাওরে গিয়ে দেখতে পান, নানা রঙের পাখির কলকাকলিতে মুখর এলাকা। কিছু পাখি মাছ শি’কার করছে। অনেক পাখি কুয়াশায় হাওরের বিভিন্ন জলা’শয়ের পানিতে নানা কায়দায় কসরত করছে। কিছু পাখি লেজ দুলিয়ে পোকা খুঁটে খাচ্ছে।
স্থানীয় লোকজন জানান, এবার হাওরে বালিহাঁস, ভুতিহাঁস, গিরিয়া হাঁস, ল্যাঞ্জা হাঁস, গুটি ঈগল, কুড়া ঈগল, সরালি,
পানভু’লানি, কালিম, টিটি, পেডিসহ অন্তত ১৫-২০ প্রজাতির পরিযায়ী পাখি এসেছে। তবে এর মধ্যে বালিহাঁস ও ভুতিহাঁসের সংখ্যাই বেশি। তাছাড়া সাদা বক, কানি বক, পানকৌড়ি, চিল, বাজসহ দেশীয় প্রজাতির নানা পাখিও রয়েছে।
হাকালুকি হাওর তীরবর্তী ফেঞ্চুগঞ্জ উপজে’লার যুধিষ্ঠিপুর গ্রামের শাহাদাত হোসেন জানান, হাওরে সকালে ও বিকালে পাখিদের বেশি দেখা যায়।
হাওরের সবখানে পাখিদের খাবার রয়েছে। তাই পাখিরা এক জায়গায় দল না বেঁ’ধে বিচ্ছিন্নভাবে পুরো হাওরে ঘুরে বেড়ায়।
জানুয়ারি মাসে পাখিশুমারি হওয়ার কথা রয়েছে বলে জানিয়েছেন ন্যাচারাল রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট স্টাডির (সিএনআরএস) স্থানীয় মাঠ ব্যবস্থাপক মো. হেলাল উদ্দিন।
তিনি জানান, অক্টোবর মাসের শেষের দিকে হাকালুকি হাওরের পানি কমতে থাকে। নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে হাকালুকি হাওরে পানি শুকিয়ে গেলেই পরিযায়ী পাখিরা ভিড় জমায়।