চলন্ত গাড়িতে চালকের ঘুমের কারণে দেশের সড়কগুলোতে ঝড়ছে বহু প্রা’ণ। খালি হয়েছে অনেক মায়ের বুক। তবে এবার সেই দু’র্ঘ’টনা রোধে ব্যতিক্রমী এক উদ্যোগ গ্রহণ করেছে পু’লিশ।
শুক্রবার, ঘড়িতে তখন রাত ৩টা। চট্টগ্রাম-কাপ্তাই ও চট্টগ্রাম-রাঙামাটি সড়কের বিভিন্ন স্থানে দূর-দূরান্তগামী নৈশকোচ ও মালবাহী ট্রাকগুলোকে সংকেত দিয়ে থামাচ্ছেন পু’লিশ সদস্যরা।
এরপর চালক ও সহকারীদের নামিয়ে গরম পানিতে মুখ ধুইয়ে চা-কফি ও বিস্কুটের পাশাপাশি দিচ্ছেন দু’র্ঘ’টনা রোধে নানা পরামর্শ।
চট্টগ্রাম জে’লা পু’লিশের রাঙ্গুনিয়া সার্কেলের এএসপি মো. আনোয়ার হোসেন শামীমের উদ্যোগে গত একমাস ধরেই চলছে এ সচেতনতামূ’লক কার্যক্রম।
এজন্য রাউজান ও রাঙ্গুনিয়ার বিভিন্ন স্থানে তৈরি করা হয়েছে অস্থায়ী বিশ্রামাগার। যার নাম দেয়া হয় ‘রিফ্রেশমেন্ট কর্নার’।
জানতে চাইলে এএসপি মো. আনোয়ার হোসেন শামীম বলেন, শীতের রাতে গাড়ি চা’লানো অনেকটা ক’ষ্টসাধ্য।
এছাড়া গাড়ি চালাতে চালাতে অনেকের ঘুম পায়। এর ফলে বিভিন্ন সময় বড় ধরনের দু’র্ঘ’টনাও ঘটে। সেই দু’র্ঘ’টনা যেন কিছুটা হলেও রোধ করা যায়, তাই আমাদের এ উদ্যোগ।
তিনি বলেন, গরম পানিতে মুখ ধোয়ানো থেকে শুরু করে চা-কফি ও বিস্কুটের পাশাপাশি সচেতনতামূ’লক নানা পরামর্শ দেয়া হচ্ছে চালক ও সহকারীদের। এছাড়া তারা যেন পরামর্শগুলো অন্য চালক-সহকারীদের অবগত করেন সেই অনুরোধও করা হচ্ছে।
ট্রাকচালক আবুল কালাম বলেন, গাড়ি নিয়ে অনেক দূর যাই। যখন তখন চোখে ঘুম এসে পড়ে।
অনেক সময় চাইলেও কোথাও দাঁড়িয়ে মুখ ধোয়া কিংবা চা-নাস্তা খাওয়া সম্ভব হয় না। তবে পু’লিশের এ ব্যবস্থাটি ভালো লেগেছে। তারা আমাদের জন্য ভাবছে, এটি অবশ্যই আ’নন্দের।