রংপুরের তারাগঞ্জ উপজে’লার সৈয়দপুরে বিয়ের দা’বিতে প্রে’মিকের বাড়িতে অবস্থান করছে দুই প্রে’মিকা। শুক্রবার সকালে ওই দুই প্রে’মিকা ঢাকা থেকে জে’লার হারিয়ালকুঠি ইউনিয়নের সৈয়দপুর মুন্সিপাড়া গ্রামে প্রে’মিকের বাড়িতে উঠেছেন।
প্রে’মিক মিজানুর রহমান বাবু রংপুরের তারাগঞ্জ উপজে’লার সৈয়দপুর মুন্সিপাড়া এলাকার জহুরুল ইসলামের ছেলে। দুই প্রে’মিকা একজন আলেয়া আরেকজন রাবেয়া। এরমধ্যে আলেয়া অ’ন্তঃস্ব’ত্বা।
জানা যায়, ওই দুই না’রী বাবুর বাড়ি উঠতে গেলে তার পরিবারের লোকজন তাদের বের করে দেয়। পরবর্তিতে গভীর রাতে এলাকাবাসীর ক্ষো’ভের মুখে বাবুর মা তাদের বাড়িতে তুলতে বা’ধ্য হন।
ত’থ্য মতে, বাবু ঢাকায় গার্মেন্টসে চাকরি করেন। থাকেন ঢাকার আমতলীতে। এরইমধ্যে বাবু এ দুই তরুণীর স’ঙ্গে প্রেমের জেরে শা’রী’রিক সম্প’র্ক গড়ে তোলেন। তাদের একজন স্বা’মী প’রিত্য’ক্তা (২৬) না’রী। স্বা’মী প’রি’ত্য’ক্তা ওই না’রীর বাড়ি জামালপুর জে’লার মা’দরগঞ্জ উপজে’লার চন্নগড়ে।
অপর না’রী সাভার ইপিজেড-এ কাজ করেন। তার বাড়ি গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজে’লার তালুককানুপুর ইউনিয়নের জামালপুর গ্রামে। থাকেন সাভারের বাইপাইলের আমতলায়।
গার্মেন্টসকর্মী আলেয়া জানান, স্বা’মীর স’ঙ্গে তা’লা’ক হয়ে যাওয়ায় স’ন্তানকে নিয়ে গার্মেন্টসে চাকরি শুরু করি। চাকরির সময় বাবুর স’ঙ্গে পরিচয় হয়।
সে আমাকে প্রেমের প্রস্তাব দিলে আমি আমার আগের স্বা’মী ও স’ন্তানের কথা বলি। সেসব কিছু মেনে নিয়ে আমাকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে দীর্ঘ ৩ বছর আমার স’ঙ্গে স্বা’মী-স্ত্রীর মতো মে’লামে’শা করেছে।
অপর প্রে’মিকা রাবেয়া বলেন, গার্মেন্টসে চাকরির সুবাদে বাবুর স’ঙ্গে পরিচয় ও সম্প’র্ক হয়। তারপর তার সাথে তার মেসে স্বা’মী-স্ত্রী পরিচয়ে থাকি। তার ছোট দুই ভাইও আমাকে ভাবি বলে ডাকে। আমি বিয়ের কথা বললে সে জানায় গ্রামে দুই তলা বাড়ি বানাচ্ছে। বাড়ির কাজ শেষ হলে আমাকে বিয়ে করবে।
আমি তার ও’পর বিশ্বাস করে তাকে স্বা’মী পরিচয় দিয়ে আমার গ্রামের বাড়িতে গত ঈদ-উল-ফিতরের ছুটিতে নিয়ে যাই। ঈদের ছুটির পর আমরা আবারও ঢাকার বাসায় যাই।
এ সময় স্থানীয়রা আমাদের আ’টক করে। বিয়ের কাবিননামা দেখাতে না পারায় স্থানীয়রা আমাদের আট’কে রাখে। পরে বিয়ের প্র’তিশ্রুতি দিয়ে সেখান থেকে ছাড়া পেয়ে অন্য বাসায় গিয়ে উঠি। কিন্তু রাতে বাবু আমাকে রেখে ওই বাসা থেকে পা’লি’য়ে যায়। আমি এখন দুই মাসের অ’ন্তঃস্ব’ত্ত্বা।
এরই মধ্যে আরেক আপু এসে আমাকে বলে তারস’ঙ্গেও বাবু একইরকম করেছে। এরপর আমি ওই আপুকে নিয়ে তার বাড়িতে চলে এসেছি। আমাকে বিয়ে না করা পর্যন্ত আমি যাবো না। আমার স’ন্তানের স্বীকৃ’তির জন্য বিয়ে করতেই হবে।
স্থানীয় সাবেক ইউপি মেম্বার আনিছার রহমান আনিছ বলেন, একই স’ঙ্গে দু’টি মে’য়ে সম্প’র্কের দা’বি নিয়ে এসেছে। এরমধ্যে একজন অ’ন্তঃ’স’ত্ত্বা। কিভাবে সমাধান করা যায়, সেই চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে বাবুর পরিবারের পক্ষ থেকে তেমন সহযো’গিতা পাওয়া যাচ্ছে না।
এ ব্যাপারে স্থানীয় চেয়ারম্যান বাবুল জানান, আমার কাছে বি’ষয়টি এসেছিল। আমার বি’চা’রের এখতিয়ার নেই। আমি থা’নায় যেতে বলেছি। এ ব্যাপারে অতিরিক্ত পু’লিশ সুপার (বি সার্কেল) মারুফ জানান, বি’ষয়টি জানার পর সেখানে পু’লিশ পাঠানো হয়েছে। অ’ভিযো’গ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।