এই স’রকার অদ্ভুত নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় জনগণকে পাত্তা না দিয়ে সাড়ে ১২ বছর ধরে জো’র করে ক্ষ’মতায় রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাস’চিব রুহুল কবির রিজভী।
তিনি বলেন, ‘কিম্ভূতকিমাকার নির্বাচন কমিশন গঠন করে রাতের অন্ধকারে এ স’রকার নির্বাচন করে।
নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন এবং তাদের পদত্যাগের জন্য তারা কথা বলেছে। এর মধ্যে বোঝা যায় যে, দেশে গণতন্ত্র শেষ করার জন্য গণতন্ত্রের মৌলিক অধিকারগুলোও ধ্বং’স করেছে।’
আসছে কুড়িগ্রাম পৌরসভা নির্বাচনে বিএনপির মেয়র প্রার্থী শফিকুল ইসলামের পক্ষে প্রচারণাকালে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন রিজভী।
আজ বুধবার দুপুরে কুড়িগ্রাম শহরের এনআর প্লাজায় প্রচারণা চালাচ্ছিলেন তিনি। ২৮ ডিসেম্বর এ পৌরসভা নির্বাচনে ভোট নেওয়া হবে। ভোট হবে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে।
সুষ্ঠু ভোট হবে কি না, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে রুহুল কবির বলেন, নির্বাচনের দিন না আসা পর্যন্ত বলা যাবে না সুষ্ঠু ভোট নিয়ে তাদের (স’রকার) আন্তরিকতা কতটুকু।
এ স’রকারের যে আচরণ, তারা কখন কী রূপ ধারণ করে, বলা মুশকিল। তবে বিএনপির নেতা-কর্মীরা শেষ পর্যন্ত মাঠে থাকবেন।
বিএনপির এ কেন্দ্রীয় নেতা বলেন, ‘আপনারা সবাই জানেন, এ স’রকার নির্বাচনী প্রক্রিয়ার মাধ্যমে জনগণকে পাত্তা না দিয়ে আজ প্রায় সাড়ে ১২ বছর থেকে জো’র করে ক্ষ’মতায় আছে।
তারা নির্বাচন কমিশন গঠন করে রাতের অন্ধকারে নির্বাচন করে। এ কারণে দেশের ৪২ জন বিশিষ্ট নাগরিক নির্বাচন কমিশন পূর্ণগঠন এবং তাদের পদত্যাগ করতে বলেছেন।
এর মধ্যে দিয়ে বোঝা যায়, দেশে গণতন্ত্র ধ্বং’স করার জন্য গণতন্ত্রের যে মৌলিক উপাদান আছে, যেমন ভোট, নির্বাচন, নির্বাচন কমিশন সব ধ্বং’স করা হয়েছে।’
মুক্তিযু’দ্ধে কুড়িগ্রামের লোকজন গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা পালন করেছেন বলে উল্লেখ করেন রিজভী। তিনি বলেন, ‘এ জে’লার দুটি অঞ্চলে পাকিস্তানি আ’র্মি ঢুকতে পারেনি।
মুক্তিযু’দ্ধে এ এলাকার মানুষের যে গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা রেখেছেন, আমি বিশ্বাস করি, আগামী পৌরসভা নির্বাচনে সুষ্ঠু ভোটের জন্যও তাঁরা সর্বাত্মক শ’ক্তি দিয়ে কাজ করবেন।’
নির্বাচন সুষ্ঠু হলে ধানের শীষের প্রার্থী শফিকুল ইসলাম বিপুল ভোটে জয়ী হবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন রুহুল কবির।
বিএনপির এ সিনিয়র যুগ্ম মহাস’চিব বলেন, স’রকারের যে আচরণ, এখানে তো প্রতিনিয়ত তারা আচরণবিধি ল’ঙ্ঘন করছে। স’রকারদলীয় প্রার্থীকে নির্বাচনী আচরণবিধি ল’ঙ্ঘন করে প্রশাসনের পক্ষ থেকে নানা সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হচ্ছে।
সম্প্রতি বিএনপির ভে’তর মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের মন্তব্যের বি’ষয়ে রিজভী বলেন,
কাদের সাহেব বলেছেন, বিএনপির মধ্যে মুক্তিযু’দ্ধের পক্ষ-বিপক্ষ নিয়ে দ্ব’ন্দ্ব চলছে। মুক্তিযোদ্ধাদের শো’কজ করা হয়েছে।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘আমার কথা, ওবায়দুল কাদের সাহেব, আপনারা ১৯৭২-১৯৭৫ সালে ক্ষ’মতায় ছিলেন। সিরাজ শিকদার কি রাজাকার ছিলেন? আপনারা ক্ষ’মতায় থাকার সময় মুক্তিযোদ্ধা সিরাজ শিকদারকে হ’ত্যা করেছেন।
আপনারা জাসদ-সর্বহারা পার্টির অসংখ্য নেতা-কর্মীকে হ’ত্যা করেছেন। মুক্তিযোদ্ধা হ’ত্যা শুরুই করেছে আওয়ামী লীগ।’