হেফাজত ইসলামের সাবেক আমির আল্লামা শাহ আহম’দ শফীর মৃ’ত্যু মা’নসিক নি’র্যাতনে হয়েছে। তার ছেলেদের অনুসারী আলেম’দের একটি অংশ এই দাবি করেছেন।
তারা বলছেন, হাটহাজারী মাদ্রাসা থেকে পদত্যাগে বা’ধ্য করা, জীবনের শেষ মুহূর্তে প্রয়োজনীয় ও’ষুধ গ্রহণ করতে না দেয়াসহ বিভিন্ন মা’নসিক নি’র্যাতনে তার অস্বাভাবিক মৃ’ত্যু হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৯ ডিসেম্বর) রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবে হেফাজত ইসলাম বাংলাদেশের ব্যানারে ডাকা এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি করা হয়। এতে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন আহম’দ শফীর বড় ছেলে মাওলানা ইউসুফ বিন আহম’দ শফী আল মাদানী।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত আলেম’দের অনেকেই আগে দলটির বিভিন্ন পদে ছিলেন। সংবাদ সম্মেলনে তারা আল্লামা শফীর মৃ’ত্যুর ঘ’টনায় বিচার বিভাগীয় ত’দন্তের দাবি করে মৃ’ত্যুর’হস্য উদঘাটন এবং জ’ড়িত ব্যক্তিদের শা’স্তির দাবি জানান তারা।
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, একটি চিহ্নিত উ’গ্রগোষ্ঠী ছাত্র-শিক্ষকদের জি’ম্মি করে মাদ্রাসায় অরাজকতা সৃষ্টি করে। সেই উ’গ্রগোষ্ঠীর কয়েকশ’ সদস্য এখনো হাটহাজারীতে অবস্থান করছে।
ঐতিহ্যবাহী এই প্রতিষ্ঠানটিকে একটি চিহ্নিত গোষ্ঠী নি’য়ন্ত্রণে রেখে রাজনৈতিক এজেন্ডা বাস্তবায়নের অ’পচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, আহম’দ শফীর শ্যালক মোহাম্ম’দ মঈন উদ্দিন মা’মলা করার পর থেকেই তিনি ও তার পরিবারের সদস্যদের হু’মকি-ধমকি ও জীবননাশের ভ’য় দেখানো হচ্ছে।
আহম’দ শফীর মৃ’ত্যু যদি স্বাভাবিক হয়, তাহলে তো কারও আ’তঙ্কিত হওয়ার কথা না। কিন্তু মা’মলা করার পর বিশেষ মহল আরও বে’পরোয়া হয়ে ওঠেছে।
মাওলানা জুনায়েদ বাবুনগরীর নেতৃত্বাধীন হেফাজতে ইসলামের নতুন কমিটিকে ‘মামা-ভাগনের সিন্ডিকে’টের অ’বৈধ কমিটি’ উল্লেখ করে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়,
হাটহাজারী মাদ্রাসার দায়িত্ব ছি’নিয়ে নেয়া এবং আহম’দ শফীর অস্বাভাবিক মৃ’ত্যুর মাসখানেক পর হেফাজতে ইসলামের নামে মামা-ভাগনে অ’বৈধ কাউন্সিল করে সিন্ডিকে’টের মাধ্যমে একটি অ’বৈধ কমিটি ঘোষণা করেছে। এই কমিটি অ’বৈধ ও অসাংবিধানিক।
সংবাদ সম্মেলনে চার দফা দাবি জানানো হয়। এর মধ্যে রয়েছে বিচার বিভাগীয় ত’দন্তের মাধ্যমে আহম’দ শফীর মৃ’ত্যুর’হস্য উদঘাটন এবং জ’ড়িতদের শা’স্তি; তার পরিবারের পক্ষ থেকে দা’য়ের করা মা’মলা ত’দন্ত করে প্রকৃত দোষীদের
চিহ্নিত করা; আহম’দ শফীর পরিবারের সদস্য ও তার অনুসারীদের নিরাপত্তা বিধান; আহম’দ শফীর রেখে যাওয়া অ’ঙ্গনগুলো থেকে বি’রোধীদের অপসারণ করা।