সম্প’র্কের শুরুর দিনগুলোর কথা একবার ভেবে দেখু’ন তো। রোম্যান্টিসিজমে ভরা সেই দিনগুলো কার না মন ভাল করে দেয়। কিন্তু সেই সু’খের সম্প’র্কেই যখন চিড় ধরে। ভে’ঙেচুরে ছারখার হয়ে যায় দু’টি মানুষের মন। আর যদি কারও মনের বিশ্বাস নিয়ে ছিনিমিনি খেলে তাঁর মনের মানুষ?
তবে তার মতো ভ’য়ং’কর অ’ভিজ্ঞতা বোধহয় আর কিছুই নেই, তাই না? তেমনই ঘ’টনার সাক্ষী স্পেনের যুবক রিকো। প্রে’মিকার কাছে প্র’তারিত ওই যুবক মা’নসিকভাবে বি’ধ্বস্ত।
রিকোর স’ঙ্গে ঠিক কী ঘটেছিল? ইভান রিকো বেশ কয়েকদিন আগে ভানে’শা জেস্টো নামে এক তরুণীর প্রেমে পড়েন। প্রেমের পথে চড়াই উতরাই থাকেই।
সেই সব প্রতিকূলতা পেরিয়ে প্রে’মিকার হাতে হাত রেখে দিব্যি এগিয়ে চলছিলেন তিনি। আর পাঁচজনের মতো রিকোও তাঁর প্রে’মিকাকে বিশ্বাস করতেন। কিন্তু একদিন সামান্য ঝ’গড়াঝা’টি হল।
তরুণী আর সম্প’র্ক রাখতে নারাজ। বছর ছত্রিশের রিকো বেশ কয়েকবার বুঝিয়েছেন তাঁকে। কিন্তু কোনও লাভ হয়নি। পরিবর্তে দূরত্ব বাড়তে থাকে। যোগাযোগ ছিল না দু’জনের।
একদিন আচমকাই রিকোকে গ্রেফ’তার করে পু’লিশ। কিন্তু কেন পু’লিশ গ্রে’ফতার করছে তাঁকে? রিকো জানতে পারেন তাঁর বি’রুদ্ধে গুরু’তর অভি’যোগ এনেছেন যাকে তিনি নিজের থেকেও বেশী বিশ্বাস করেছিলেন সেই প্রে’মিকাই।
পু’লিশ জানায় তরুণীর অভিযোগ, রিকো তাঁকে জো’র করে একটি গাড়িতে তুলে নিয়ে যায়। এরপর প্রায় অর্ধ’ন’গ্ন করে গোপ’না’ঙ্গে আ’ঠা দিয়ে দেওয়া হয়।
তারপর থেকেই নাকি নানা ধরনের শা’রী’রিক সম’স্যায় ভুগছেন তরুণী। প্রা’ক্তন প্রে’মিকার অভিযোগ শুনে তাজ্জব রিকো। তিনি এমন কাজ করেননি বলেই বারবার দাবি করতে থাকেন। যদিও পু’লিশ তাঁর কথায় আমল দিতে প্রথমে রা’জি হয়নি।
এরপর শুরু হয় ত’দন্ত। তবে তাতেই ভেস্তে গেল তরু’ণীর সমস্ত পরিকল্পনা। পু’লিশ একটি সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে। তাতে দেখা যায়, তরুণী একটি দোকান থেকে নিজেই আঠা এবং ছু’রি কেনেন।
তার কথামতো ওই এলাকায় কোনও কালো গাড়ি কিংবা রিকো’কেও দেখা যায়নি। তাতেই পু’লিশের কাছে সব কিছু পরিষ্কার হয়ে যায়। তরুণীকে জি’জ্ঞাসাবাদ করে পু’লিশ।
প্র’তিশোধ নিতে এই কাজ করেছেন বলে স্বীকার করে নেয় সে। পু’লিশ রি’কোকে মু’ক্তি দেয়। তবে আগামী ১০ বছর জে’লে’ই দিন কা’টাতে হবে ওই ত’রু’ণীকে।