ক’রোনাভা’ইরাসে ম’হামা’রিতে চা’পে থাকা দেশগুলোর জন্য আরও বেশি ঋ’ণ মওকুফের আহ্বান জানিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। সোমবার (২৫ জানুয়ারি) জাতিসংঘের বাণিজ্য ও উন্নয়ন বি’ষয়ক সম্মেলনের চতুর্থ অধিবেশনে বক্তব্যকালে এ অনুরোধ জানান তিনি।
সম্মেলনে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী বলেন, উন্নয়নশীল দেশগুলো ম’হামা’রি থেকে পুনরুদ্ধার এবং ঋ’ণ পরিশোধ বা’ধ্যবাধকতার ফাঁ’দে পড়েছে।
তিনি বলেন, পৃথিবী আজ একঝাঁক আন্তঃসম্প’র্কিত স্বাস্থ্যগত ও অর্থনৈতিক সং’কটে জড়িয়ে পড়েছে। যদিও ক’রোনাভা’ইরাসে ধ’নী-দরিদ্রের বৈষম্য দেখে না, তারপরও দু’র্বল মানুষ ও দেশগুলোই সবচেয়ে বেশি ক্ষ’তিগ্রস্ত হয়েছে।
ইমরান বলেন, এখন উন্নত দেশগুলোতে ক’রোনা ভ্যাকসিন দেয়া হচ্ছে। তবে মনে হচ্ছে, গোটা দক্ষিণাঞ্চল ভ্যাকসিনের আওতায় আনতে অনেক বেশি সময় লাগবে। ম’হামা’রি দীর্ঘস্থায়ী হওয়ায় টেকসই উন্নয়নও অধরা থাকবে।
এসময় পাকিস্তানের মতো দেশগুলোর জন্য আরও বেশি ঋ’ণ মওকুফের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ২০৩০ সালের মধ্যে স্থায়ী উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে আরও বেশি কিছু করা দরকার।
এর আগে গত বছর উন্নয়নশীল দেশগুলোর ঋ’ণ মওকুফে একটি বৈশ্বিক উদ্যোগের আহ্বান জানিয়েছিলেন ইমরান খান।
অবশ্য ম’হামা’রির আগে থেকেই বিভিন্ন দেশ ও সংস্থার কাছে বড় অংকের ঋ’ণ রয়েছে পাকিস্তানের। বিদেশি ঋ’ণের বোঝা কমাতে দেশটির স’রকার সম্প্রতি তেলের দাম বাড়াতে বা’ধ্য হয়েছে বলে স্বীকারও করেছেন পাকিস্তানি প্রধানমন্ত্রী।
গত বুধবার উত্তর ওয়াজিরিস্তান সফরকালে একটি বেস’রকারি টেলিভিশনকে দেয়া সাক্ষাৎকারে ইমরান খান বলেন, তেলের দাম নূন্যতম পর্যায়ে রাখতে তার দেশ আর ঋ’ণের বোঝা কাঁধে নিতে পারবে না।
পাকিস্তানি রুপির চ’রম অবমূ’ল্যায়নের প্রভাবে পেট্রোলিয়াম, ডাল, ঘিসহ বিভিন্ন আম’দানি পণ্যের দাম বাড়াতে হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
পাকিস্তানি প্রধানমন্ত্রী বলেন, বর্তমান স’রকারের আমলে ডলারের মূ’ল্য ১০৭ রুপি থেকে বেড়ে ১৬০-এ পৌঁছেছে, যার কারণেও দ্রব্যমূ’ল্য বৃ’দ্ধি পেয়েছে।