প্রেম আর বিয়ের মধ্যে অনেক পার্থক্য। প্রেম করা যায় সবার স’ঙ্গে। কিন্তু বিয়ে করা যায়না। বিয়ে করতে হয় ভালোভাবে চিন্তা করে। না হয় পচতাতে হয়। আর এ কথা হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছেন তাইওয়ানের এক যুবক।
স্ত্রীর শত গুণ থাকতেও যিনি বিচ্ছেদ চাইতে বা’ধ্য হয়েছেন। তাও কেবলমাত্র একটি বদভ্যাসের জন্য। কিছুতেই গোসল করতে চান না স্ত্রী। আর এ কারণেই স্ত্রীর স’ঙ্গে এক ছাদের তলায় থাকতে চান না ওই যুবক।
অদ্ভুত এই ঘ’টনা উঠে এসেছে তাইপেই টাইমস নামক এক সংবাদমাধ্যমে। যেখানে যুবক জানিয়েছেন, প্রেম করেই বিয়ে করেছিলেন তিনি। তখন প্রে’মিকার স্বভাব এতটা খা’রাপ ছিল না। সপ্তাহে একবার গোসল তিনি করেই নিতেন।
বিয়ের প্রথম প্রথমও সব ঠিক ছিল। কিন্তু সময় গড়াতেই বি’ষয়টি খুবই অস্বস্তিকর পর্যায় যেতে থাকে। স্ত্রী নাকি এখন বছরে একবার গোসল করেন। আর সেই গোসল করতে সময় লাগে মাত্র ছয় ঘণ্টা। মাথায় পানি পর্যন্ত দেন না। আর প্রতিদিন দাঁত পর্যন্ত মাজেন না। এমন স্ত্রীর কাছে যেতেই গা ঘৃণা হয় ওই যুবকের।
তিনি আরো অভিযোগ করেছেন যে তার স্ত্রী তাকে চাকরী করা থেকে নিরুৎসাহিত করেছিলেন এবং তার বাবা-মায়ের স’ঙ্গে থাকার সময় এই দম্পতি বেকার ছিলেন। তাদের জীবনযাত্রার ব্যয়ের জন্য তাকে তার শাশুড়ির উপর নির্ভর করতে বা’ধ্য করা হয়েছিল।
২০১৫ সালে অনেক ক’ষ্টে নিজের জন্য একটি কাজ জোগাড় করেন ওই যুবক। স্ত্রী’কে লুকিয়ে বেশ কিছুদিন কাজটি করতে থাকেন তিনি। কিন্তু স্ত্রী খবর পেয়েই যান। আর স্বা’মীকে কাজ ছাড়ার জন্য চা’প দিতে থাকেন। কিন্তু যুবক কাজ ছাড়তে রাজি নন। বরং এমন স্ত্রীর কাছ থেকে মুক্তি চান তিনি। সে কারণেই বিচ্ছেদের মা’মলা করেছেন।
অন্যদিকে, যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন যুবকের স্ত্রী। তার দাবি, স্বা’মীকে নিজের ছেলের মতোই দেখতেন তার বাবা-মা।