বগুড়ার আদম’দীঘিতে ছাত্রীর মায়ের স’ঙ্গে প’রকীয়া করতে এসে স্বা’মীর হাতে ধরা খেয়েছেন এক গৃহশিক্ষক।
বুধবার (১৬ ডিসেম্বর) দুপুরে উপজে’লার ছাতিয়ানগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদে তিন লাখ টাকার বিনিময়ে বি’ষয়টি রফাদফা করেন ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল হক আবু।
অ’ভিযুক্ত গৃহশিক্ষক হাসান ছাতিয়ানগ্রামের একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক।
স্থানীয়রা জানান, এলাকার এক তরকারি ব্যবসায়ীর নবম শ্রেণি পড়ুয়া মে’য়েকে বাড়িতে গিয়ে প্রাইভেট পড়াতেন হাসান। এরপর থেকে ছাত্রীর মায়ের স’ঙ্গে প’রকীয়া সম্প’র্ক গড়ে ওঠে তার। এ বি’ষয়টি ছাত্রীর বাবা জানতে পেরে গৃহশিক্ষকের ও’পর নজর রাখেন।
মঙ্গলবার (১৫ ডিসেম্বর) প’রকীয়ার টানে রাতে ওই ছাত্রীর মার ঘরে ঢোকেন গৃহশিক্ষক হাসান। তখন ঘরের বাইর থেকে দরজায় তালা লাগিয়ে চি’ৎকার শুরু করেন স্বা’মী। এ ঘ’টনার খবর পেয়ে পু’লিশ রাতেই দুজনকে আ’টক করে। এরপর তাদের স’ঙ্গে কথা বলে ঘ’টনাস্থল থেকে চলে যান।
বুধবার (১৬ ডিসেম্বর) ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল হক আবুর নেতৃত্বে দুপুরে গৃহশিক্ষক হাসানকে ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে আনা হয়। চেয়ারম্যান শালিস করে শিক্ষককে তিন লাখ টাকা জরিমানা করেন। একই স’ঙ্গে লিখিত মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেন।
তবে এ ব্যাপারে ছাতিয়ানগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান টাকা লেনদেনের বি’ষয়টি অস্বীকার করে বলেন, শিক্ষককে ফাঁ’সাতে ছাত্রীর পরিবারের এটি একটি চ’ক্রান্ত। শালিসের মাধ্যমে বি’ষয়টি সমাধান করা হয়েছে।
আদম’দীঘি থানার ওসি জালাল উদ্দীন বলেন, ঘ’টনার পর খবর পেয়ে ঘ’টনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। তবে ওই ছাত্রীর পরিবারের কেউ অভিযোগ না দেয়াতে আইনি ব্যবস্থা নেয়া সম্ভব হয়নি।