ক্যানসারে আ’ক্রান্ত মা। আছেন তৃতীয় স্টেজে। বিসিবির নি’ষেধাজ্ঞার জন্য আয়ের সব পথই হয়েছে বন্ধ। ক’রোনাকালে যে সং’কট বেড়েছে আরো। তাই মায়ের চিকিৎসার জন্য হলেও আবারো ক্রিকে’টে ফিরতে চান, সাদা পোষাকে এক সময়ের পেসার শাহাদাত হোসেন রাজিব। ইতোমধ্যে বিসিবির কাছে আবেদন করেছেন শা’স্তি উঠিয়ে নেয়ার। রাজিব বলছেন, এবার ক্রিকে’টে ফিরলে, নিজেকে ফেরাবেন শুদ্ধ রূপে।
মাত্র ১ বছরের ব্যবধানেই বদলে গেলো অনেক কিছু। এখন ক্যানসারের স’ঙ্গে লড়ছেন গ’র্ভধারিণী মা। আর শাহাদাত আছেন বিসিবি দেয়া ৫ বছরের নি’ষেধাজ্ঞায়। মায়ের চিকিৎসার খরচ চালাতে তাই রীতিমত হিমসিম খাচ্ছেন রাজীব, স্পষ্ট করে বললে কার্যত বন্ধই।
শাহদাত হোসেন রাজীব টাইগার ক্রিকে’টের এক ভু’লে যাওয়া স্মৃ’তি। প্রতিভা নিয়ে সংশয় ছিলো না কোনদিনই। তবে কখনও গৃহপরিচালিকে নি’র্যাতন কখনও সতীর্থের গায়ে হাত তোলা। নানা কারণেই দেশের ক্রীড়াঙ্গনে নেতিবাচক সংবাদের শিরোনাম হয়েছেন তিনি।
সবশেষ ২০১৯ সালে আরাফাত সানি জুনিয়রকে শা’রীরিক লাঞ্ছনার দায়ে নি’ষিদ্ধ হন ৫ বছরের জন্য। পরে তা কমিয়ে করা হয় তিন বছর। এখন পার করছেন কঠিন সময়। তাইতো মায়ের চিকিৎসার জন্য হলেও ক্রিকে’টে ফিরতে চান লাল সবুজের জার্সিতে ১২৩ উইকেট নেয়া রাজিব।
তিনি বলেন, আম্মার অবস্থা এখন অনেক খা’রাপ। তার অবস্থা এখন লাস্ট স্টেজে। আমার জন্য ক্রিকে’টে ফেরাটা খুবই দরকার। আমি খেলার জন্য আবেদন করেছি।
নি’ষেধাজ্ঞা থাকার পরেও গেলো দুইদিন অনুশীলন করেছেন মিরপুরের একাডেমি মাঠে। পরে সেখানে অনুশীলনেও এসেছে নি’ষেধাজ্ঞা। রাজিব বলছেন, নিজেকে ফি’ট রাখাই এখন বড় চ্যালেঞ্জ তার।
তিনি আরো বলেন, আমাকে ডেকে বলেছে, শাহাদাত তুমি এখানে বোলিং করতে পারবে না। এটা সত্যি অনেক ক’ষ্টের। তবে আগে থেকে জানা থাকলে আমি মিরপুর আর যেতাম না।
কঠিন সময়ে অনুশোচনায় পুড়ছেন রাজিব। ক্ষমা চেয়ে কথা দিচ্ছেন হবে না ভু’লেন পুনরাবৃত্তি।
বাংলাদেশের হয়ে সবশেষ ২০১৫ সালে খেলেছিলেন রাজিব।