কুষ্টিয়ায় বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙার পর থেকে এখন সারাদেশে ভাস্কর্য ভাঙার সাহস বেড়েছে এক শ্রেণির মানুষদের, আবার এদের আ’ক্রমণের শি’কার হওয়ার ভ’য়ে এই অপশ’ক্তির বি’রুদ্ধে কেউ মুখও খুলছে না। ফলে এসব খবর রয়ে যাচ্ছে মিডিয়ার আলোচনার বাইরে।
বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙার পর সম্প্রতি কুষ্টিয়াতে বিপ্লবী বাঘা যতিনের ভাস্কর্যও ভাঙা হয়েছে। এদিকে সালমান শাহ’র ভাস্কর্য ভাঙার জন্য নানাভাবে হু’মকি প্রদান করা হচ্ছে ‘স্বপ্নের ঠিকানা’
রিসোর্টের মালিক রাশেদ খানকে। সম্প্রতি রাশেদ খান তার দুটি ইউটিউব চেনেলের প্রকাশনা অনুষ্ঠানে বি’ষয়টি সবাইকে জানান।
রাশেদ খান বলেন, ‘স্থানীয় বাসিন্দা থেকে শুরু করে দেশের ও বিদেশের নানা জায়গা থেকে নানাভাবে আমাকে হু’মকি দেয়া হচ্ছে। আমাকে বারবার বলা হচ্ছে সালমান শাহ’র ভাস্কর্য ভে’ঙে ফেলতে। আমি আমার ভালোবাসার জায়গা থেকে অনেক টাকা খরচ করে নিখুঁতভাবে এই ভাস্কর্যটি তৈরি করেছি।
এর স’ঙ্গে জ’ড়িত আমার অনেক আবেগ অনুভূতি। এটা আমি ভাঙতে চাই না। তার পরেও আমি সাধারণ মানুষের রায় চাই। যদি দেশের মানুষ সালমান শাহ’র ভাস্কর্য ভাঙার পক্ষে থাকে তাহলে আমি এই ভাস্কর্য ভে’ঙে ফেলব।
আর যদি ভাঙার পক্ষে মানুষের সংখ্য খুবই কম হয়। তাহলে স’রকারের উচিত এই অপশ’ক্তির বি’রুদ্ধে ক’ঠোর হওয়া। তা না হলে এ অপশ’ক্তি আমাদের দেশের ইতিহাস ঐতিহ্যের ও’পর আঘাৎ হানবে। যারা বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙতে পারে তারা সুস্থ মানুষ হতে পারে না।
আমি সালমান শাহ’র ভাস্কর্যটি নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। যে কোন সময় প্রকাশ্যে বা গো’পনে এই অপশ’ক্তি সালমান শাহের ভাস্কর্য ভে’ঙে দিতে পারে। স’রকার ক’ঠোর না হলে সারাদেশে ভাস্কর্য ভাঙার এই উৎসব ঠেকানো যাবে না।’
আজ থেকে ২৫ বছর আগের কথা। হঠাৎ করে একটি খবর রেডিও টিভির কল্যাণে ছড়িয়ে পড়ে- ঢালিউড সুপারস্টার সালমান শাহ আর নেই।
সেই খবর শো’কের সাগরে ভাসিয়ে দেয় সালমান ভক্তদের। তেমনি এক ভক্তের নাম রাশেদুল ইসলাম (রাশেদ খান)। যুবক রাশেদ প্রিয় নায়ককে আজও আইডল মানেন। তাকে ভালোবাসেন সেরা নায়ক হিসেবে। অনেকদিন ধরেই ইচ্ছে ছিল প্রিয় নায়কের জন্য কিছু করবেন।
অবশেষে গাজীপুরের কালীগঞ্জ থানা, উলুখোলা, বীরতুল, উত্তরপাড়া তার বাড়ির পাশে গড়ে তুলেছেন তিনি সালমান শাহের সবচেয়ে সুপারহিট সিনেমা ‘স্বপ্নের ঠিকানা’র নামে একটি রিসোর্ট। সেখানে গড়েছেন অমর নায়ক সালমানের একটি নান্দনিক ভাস্কর্য।
এই ভাস্কর্যের জন্য রাশেদ খান অনেক প্রশংসা অর্জন করেছেন। সারা দেশ থেকে সালমান ভক্তরা এখানে আসেন সালমানের এই ভাস্কর্য দেখতে এবং ভাস্কর্যের স’ঙ্গে ছবি তুলতে। আর এই ভাস্কর্য দেখতে কোন টিকেট বা কোন টাকা নেওয়া হয়না।